|
|
|
|
বইমেলাতে কাটতি বেশি সচিনেরই
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সচিন তেণ্ডুলকর খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর ভক্তরা তাঁকে ছাড়তে রাজি নয়। তাঁর নামে বিহারে মন্দির তৈরি হচ্ছে। ভারতরত্ন হিসেবে তাঁর নাম বিবেচিত হয়েছে। আবার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের পরিবেশ এখন সচিনময়। আর তার ছোট্ট নজির মিলেছে জামশেদপুর বইমেলায়। সাহিত্যকে পিছনে ফেলে দিয়ে সেখানে এই বছর চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সচিনের জীবনী।
বই বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সাহিত্যকে পিছনে ফেলে দিয়ে সচিনের জীবনী ও তাঁর খেলোয়ার জীবনের বৃত্তান্তই বেশি বিক্রি হচ্ছে। কলকাতার একটি পুস্তক প্রকাশনী সংস্থার মালিক সান্টু ঘোষের কথায়, “সচিন : বর্ন টু ব্যাট নামে একটি নতুন বই এবার এখানে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। সচিন সবে সবে খেলা ছেড়েছেন। হয়ত সেই আবেগ থেকেই বইটির কাটতি। আরও অন্যান্য ভালো বইও রয়েছে। সেগুলির বিক্রি কম।” |
জামশেদপুর বইমেলায়। শুক্রবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি। |
তবে বাংলা বই কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছরেও একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা নিয়েই বিক্রি হচ্ছে। পুস্তক বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, জামশেদপুরের বাঙালিদের কাছে সাহিত্য-উপন্যাসের থেকে একটু সমালোচনামূলক লেখার বইয়ের চাহিদা বেশি। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে কিশোর সাহিত্য বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আনন্দ-র অরূপ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত দু’-তিন বছর ধরেই কিশোর সাহিত্যের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। এই বছরেও ফেলুদা, কাকাবাবু কিংবা টিনিটিনের কাটতি অন্যান্য বাংলা বইয়ের থেকে বেশি।
জামশেদপুর টেগোর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আশিস চৌধুরীর কথায়, “অনেক বাবা-মা রয়েছেন যাঁরা চান তাঁদের ছেলেমেয়েরা ইংরেজিতে লেখাপড়া করলেও বাংলার চর্চাটা রাখুক। তাঁদের উৎসাহেই বাঙালি ছেলেমেয়েরা টিনটিন, ফেলুদা কিংবা কাকাবাবুর মতো সাহিত্যের প্রতি ঝুঁকছে। এর অর্থ নতুন প্রজন্ম বাংলা পড়ছে।”
১৫ নভেম্বর থেকে জামশেদপুরের টেগোর সোসাইটির প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে জামশেদপুর বইমেলা। কলকাতা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য থেকে মোট ৭২টি পুস্তক প্রকাশনী সংস্থা এসেছে। মেলায় স্টল রয়েছে ২১০টি। সেখানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বইয়ের সম্ভারই রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত মেলা চলবে। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে মেলায় ভিড় কম। |
|
|
|
|
|