ফাঁকাই পড়ে আছে সাবওয়ে, চলছে ঝুঁকির পারাপার
দেবাশিস দাস |
নিরাপদে যাতায়াতের জন্য ভূগর্ভস্থ পথ আছে। তবু টালিগঞ্জ মোড়ে অবাধে চলেছে ঝুঁকির পারাপার। পথচারীদের অসচেতনতাকেই এর জন্য দায়ী করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এ ভাবে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
টালিগঞ্জ মোড়ে যানজটের অন্যতম কারণ পথচারীদের এ ভাবে রাস্তা পারাপার করা। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন (টালিগঞ্জ) থেকে যাঁরা মেট্রো ব্যবহার করেন তেমন অধিকাংশ যাত্রীই রাস্তা পার হয়েই যাতায়াত করেন। ট্রাফিক পুলিশের মতে এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। |
|
ফাঁকাই পড়ে থাকে ভূগর্ভস্থ পথটি। টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনে এ ভাবেই চলে রাস্তা পারাপার। —নিজস্ব চিত্র। |
স্টেশন-সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ পথটি মেট্রোরেলের অধীনে। এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও হয়। রয়েছে চলমান সিঁড়িও। তবু পথচারীদের অধিকাংশ তা ব্যবহার করেন না কেন? আজাদগড়ের বাসিন্দা শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “রাস্তা দিয়ে যাতায়াত অনেক সহজ। সময়ও কম লাগে।” ভূগর্ভস্থ পথ এড়াতে এটাই অধিকাংশ পথচারীর যুক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পথচারীদের এই যুক্তি আমরাও শুনেছি। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখেছি ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে গেলে সাত মিনিটের মতো লাগে। আর উপর দিয়ে পারাপার করলে মিনিট চারেক। মাত্র তিন মিনিট বাঁচাতে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে
যাতায়াত করেন।”
টালিগঞ্জ মোড় দেশপ্রাণ শাসমল রোড এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোডের সংযোগস্থল। এর এক দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, বারুইপুর এবং অন্য দিকে বেহালার ঠাকুরপুকুর এবং জোকা। ফলে সারা দিনই এই রাস্তায় গাড়ির চাপ খুব বেশি থাকে। প্রতি মুহূর্তে থাকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক দিলীপ আদক বলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু অধিকাংশ পথচারীই সচেতন নন। পথচারীরা যাতে সচেতন হন তার জন্য চেষ্টা চলছে।” |
|