দখলদারি কার জমিতে পুর-সেচ চাপানউতোর
হেস্টিংস অঞ্চলে ক্যানাল রোডের ফুটপাথে এবং সংলগ্ন টলিনালার ধারে জবরদখলকারীদের বসবাস। আর এই জায়গা দখলমুক্ত করার দায় কার সেই নিয়ে কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য সেচ দফতরের মধ্যে চাপান-উতোর চলেছে। কার কতটা জমি বেদখল হয়েছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই দুই দফতর সূত্রে খবর।
টলিনালার পাশেই সেচ দফতরের একটি জমিতে অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু মানুষ বেআইনি ভাবে বসবাস করতেন। কয়েক বছর আগে সেখানে আগুন লেগে ঝুপড়িগুলি পুড়ে যায়। এর পরেই, ওই ঝুপড়িবাসীরা ফুটপাথে ঝুপড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। বেশ কিছু ঝুপড়িবাসী ফের সেচ দফতরের জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে শুরু করেছেন।
এ ভাবেই ফুটপাথে চলেছে বসবাস। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।
স্থানীয় বাসিন্দা নন্দকুমার রাও বলেন, “ফুটপাথ না থাকায় যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। পুর কর্তৃপক্ষকে বহু বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”
সেচ দফতর সূত্রে খবর, আগুন লাগার পরেই ঝুপড়িবাসীরা সরে যান। এর পরে জমিটির কিছু অংশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। খালধার লাগোয়া ফুটপাথ কলকাতা পুরসভার। আর সেচ দফতরের লাগোয়া জমির মধ্যে কোন অংশ কার তা নিয়ে দু’দফতরের মধ্যেই রয়েছে চাপান-উতোর।
সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন,“জবরদখল হওয়া অংশ সেচ দফতরের জমির মধ্যে পড়লে সেচ দফতর সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আর যে অংশটি পুরসভার, তার ব্যবস্থা পুরসভা নেবে। অন্য দিকে, পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুরসভার অংশে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের উচ্ছেদ করার কথা পুরসভার। কিন্তু সেচ দফতর উদ্যোগ না নিলে সমস্যার সমাধান হবে না। কোন জমি কোন দফতরের তা চিহ্নিত করতে সেচ দফতরকেও এগিয়ে আসতে হবে। সেচ দফতরের জমিতে যাঁরা বসবাস করছেন তাঁরা সমস্ত পুর-পরিষেবার সুযোগ সুবিধা নেন। এর উপর তাঁরা রাস্তা নোংরা করেন।
তবে ঝুপড়িতে আগুন লাগার পর সেখানকার বাসিন্দারা যখন পুরসভার ফুটপাথে বসবাস শুরু করেন তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? এর কোনও সদুত্তর পুর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি। স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর বেলকিস বেগম বলেন, “আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেই ঝুপড়িবাসীরা রাস্তা পেরিয়ে ফুটপাথে বসবাস শুরু করেন। মানবিক কারণেই তাঁদের সরানো হয়নি। তবে, এটা ঠিক ফুটপাথ দখল হওয়ায় যাতায়াতের অসুবিধা হয় এবং এলাকা নোংরা হয়। পুর কর্তৃপক্ষ যদি কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করেন সে ক্ষেত্রে সমাধান সম্ভব হবে।”
পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “ঠিক কী অবস্থায় জায়গাটি রয়েছে তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, নতুন করে কেউ যাতে বসবাস না করেন সেই ব্যাপারেও নজর রাখা হচ্ছে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.