|
|
|
|
কাটল জট, গড়িয়ায় দরিদ্রদের জন্য বহুতল
নিজস্ব সংবাদদাতা |
গড়িয়া মোড়ের কাছে রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে রাজীব আবাস যোজনায় দরিদ্রদের জন্য বহুতল তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। কাজটি করবে কলকাতা পুরসভা। এর ফলে পাশের একটি গ্রন্থাগারের সম্প্রসারণ ও কমিউনিটি হল তৈরির দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারবে। বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য কেএমডিএ-র ল্যান্ড কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে বেসরকারি উদ্যোগে গড়িয়া মোড়ের কাছে রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টার-সহ পুরনো গ্রন্থাগারের সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু যেখানে কাজটি হওয়ার কথা ছিল সেখানে অনেকে বাস করতেন। তাঁদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে প্রকল্পটি আটকে গিয়েছিল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুনর্বাসন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। বাসিন্দাদের এখানে রেখেই যাতে প্রকল্পটি করা যায় সেই ব্যাপারে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” |
|
এখানেই তৈরি হবে বহুতল। ছবি: অমরেশ চক্রবর্তী। |
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, “ওখানে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের জন্য একটি বহুতল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। জমিটি কেএমডিএ-র। সরকারি ভাবে পুরসভাকে এই জমি হস্তান্তর করার পরেই কাজ শুরু হবে।” এই প্রকল্পে খুশি ওই জমির বাসিন্দারাও। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা খুশি। এখানে বহুতল তৈরি হলে আমাদের অন্যত্র যেতে হবে না।”
কেএমডিএ সূত্রে খবর, গড়িয়া মোড়ের কাছেই রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে ২০০৮-এ কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ একটি পুরনো গ্রন্থাগারকে সংলগ্ন ১৫ কাঠা জমি বিক্রি করেছিলেন। কথা ছিল, গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ এই জমিতে গ্রন্থাগার সম্প্রসারণ করবেন। তৈরি হবে একটি কমিউনিটি হলও। কিন্তু জমিতে যাঁরা বাস করতেন তাঁরা অন্যত্র যেতে চাননি। ফলে, এই প্রকল্পটি আটকে যায়।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে না-পারার কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসন সমস্যার কথা জানান। এর পরে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরমন্ত্রী এবং কেএমডিএ-র প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ১১ কাঠা জমি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করবেন। বাকি চার কাঠা জমিতে কলকাতা পুরসভা এই দরিদ্র বাসিন্দাদের জন্য রাজীব আবাস যোজনায় বহুতল তৈরি করবে। নিয়মানুযায়ী, বিষয়টি কেএমডিএ-র ‘ল্যান্ড কমিটি’ পর্যালোচনা করে চূড়াম্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
গ্রন্থাগারের সম্পাদক নির্মাল্য ভট্টাচার্য বলেন, “কেএমডিএ-র কাছ থেকে এই জমি নিলেও পুনর্বাসন সমস্যা থাকায় কাজ করতে পারছিলাম না। কেএমডিএ-র কাছে প্রকল্পের নকশা জমা দেওয়া রয়েছে।
সরকারি ভাবে এই জমির অধিকার পেলেও প্রকল্পের কাজ শুরু করতে না পারায় জমিটির লিজ ডিড নিতে পারছিলাম না। সমস্যার সমাধানে পুরমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি। বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।” |
|
|
|
|
|