|
|
|
|
অশান্তির অভিযোগ শহরের দুই ওয়ার্ডেও, ওড়াল পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার কলকাতা পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে কিছু জায়গায় বুথ জ্যাম ও অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলল কংগ্রেস এবং সিপিএম। একটি জায়গায় বোমা ফেলার অভিযোগও উঠেছে। ওই দুই দলের পক্ষ থেকে আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বোমাবাজি নিয়ে কোনও অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি।
এ দিন সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার ১ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট-পর্ব শান্তিতেই চলছিল। দুপুর দুটোর পর থেকে জোড়াবাগান এলাকার মাহেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। তৎপর ছিল পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই সামাল দেয় পরিস্থিতি। |
|
ফের একই অভিযোগ ওঠে বালকৃষ্ণ ভিট্টলনাথ বালিকা বিদ্যালয়ে একটি পোলিং বুথে। সেখানেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই স্কুলের কাছ থেকে একটি বোমার আওয়াজ ভেসে আসে। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও পুলিশের এক কর্তা জানান, স্কুলের অদূরে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বোমা ফাটার মতো আওয়াজ হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা শব্দযুক্ত কোনও জিনিস ফাটালেও তা বোমা নয়।
অন্য দিকে, পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুরে তাঁদের একটি দলীয় অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৮বি কাশীপুর রোডে একটি সিপিএম অফিস রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় লিখিত ভাবে হামলার অভিযোগ জানানোও হয়। সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ অজ্ঞাতপরিচয় কিছু যুবক তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। পুলিশ যেতেই তারা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় তাদের কয়েক জন সদস্য আহতও হয়েছেন। আরজিকর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ২ নম্বর ওয়ার্ডেও উপ-নির্বাচন হয়। তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস তিন দলই প্রার্থী দিয়েছিল। প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট পড়ে। পুলিশ জানায়, ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। গণ্ডগোলের খবর মেলেনি। |
|
|
|
|
|