জটে আটকে পূর্ব-পশ্চিম

কী ভাবে শুরু হয় এই প্রকল্প?
শিলান্যাস। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এবং জাপানি সংস্থা জাইকা মিলিত ভাবে এই প্রকল্পে অর্থ জোগানোর দায়িত্ব পায়।

এখন দায়িত্বে কারা?
তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহে এই প্রকল্পটিতে ঢোকেন রেল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার দায়ভার ছেড়ে দেয়। এখন প্রকল্পের মূল দায়িত্ব রেলের (৭৬%)। বাকিটা নগরোন্নয়ন দফতরের।

প্রকল্প ব্যয় কত ছিল এবং এখন তা কত হয়েছে?
৪ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্যয় আরও বেড়ে চলেছে।

প্রকল্প শেষের সময়সীমা কী ছিল?
পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত কাজের সময়সীমা ধরা হয়েছিল ২০১৩ সাল।
দ্বিতীয় পর্যায়ে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে।

কতটা কাজ হয়েছে?
প্রথম পর্যায়ের মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হয়নি বললেই চলে।

কেন সময়ে শেষ করা গেল না?
দায়িত্বভার নিয়ে রেল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনে প্রায় ১ বছর সময় নষ্ট হয়।
এর পরে সমস্যা দেখা দেয় জমি অধিগ্রহণ, রুট পরিবর্তন এবং অর্থের জোগান নিয়ে।

জমির সমস্যা কোথায়?
দত্তাবাদে, বৌবাজার ও স্ট্র্যান্ড রোডে।

কী সমস্যা দত্তাবাদে?
জনা পঞ্চাশেক বাসিন্দাদের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না দিলে তাঁরা জমি ছাড়বেন না। বিস্তর টালবাহানার পরে ঠিক হয়েছে, ওই বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এই কাজ শুরু হয়নি। তাই প্রকল্পের কাজও আটকে রয়েছে।

কী সমস্যা বৌবাজার ও স্ট্র্যান্ড রোডে?
বৌবাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ উচ্ছেদের প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলার রায় রেলের পক্ষে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এখনও জমি অধিগ্রহণ করে উঠতে পারেনি। তাই কাজ শুরু করা যায়নি। স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেশন তৈরির জমি এখনও পায়নি রেল।

রুট পরিবর্তন নিয়ে সমস্যা কোথায়?
মূল পরিকল্পনা ছিল, সল্টলেক-ফুলবাগান-শিয়ালদহ-সেন্ট্রাল স্টেশন-বিবাদি বাগ হয়ে গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়া ময়দান যাবে মেট্রো। রাজ্য সরকার এখন চাইছে, মহাকরণ স্টেশনটি ক্যানিং স্ট্রিটে না করে লালদিঘির পাশে হোক। রেলের বক্তব্য, এতে প্রকল্পের ব্যয় ৩০ শতাংশ বাড়বে। তাই রেল এতে রাজি নয়। সমস্যার সমাধান হয়নি। রুট চূড়ান্ত না হওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হাওড়ার দিকের কাজও।
অর্থ জোগানের সমস্যা কোথায়?
এ বছর রেল ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু টাকা আসেনি। রেল টাকা না দিলে জাইকাও টাকা দেবে না। টাকার জন্য রেল গিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশনের কাছে। তারাও টাকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। অর্থ মন্ত্রক বলেছে, রেলকেই এই টাকা জোগাড় করতে হবে। রেল এখন প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে।

কী অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ?
ফুলবাগানের রাস্তা অনেকটাই বন্ধ। একই অবস্থা শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার মুখে এবং হাওড়া ময়দানের একাংশে।

প্রতিবেদন: অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: শৌভিক দে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.