|
|
|
|
টুকরো খবর |
বিবেক চেতনা উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা |
প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের ধাঁচেই স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে কলকাতার রেড রোডে। পুলিশের কুচকাওয়াজের ব্যবস্থাও থাকবে। অনুষ্ঠানটি হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিবেক চেতনা উৎসব’।
গত বছর স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবর্ষ উৎসবের সূচনা হয়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ১০ জানুয়ারি রেড রোডে অনুষ্ঠান হলেও ১২ তারিখে স্বামীজির জন্মদিনের মূল উৎসব হবে বেলুড় মঠে। সে-দিন ভোরে স্বামীজির জন্মক্ষণে রাজ্যব্যাপী সাইরেন বাজানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বারের উত্তরবঙ্গ উৎসবও বিবেক চেতনা উৎসব হিসেবে পালন করা হবে।
শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে স্বামী বিবেকানন্দ সার্ধশত জন্মবর্ষ উদ্যাপন কমিটির বৈঠকে এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ফেসবুকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ১০ জানুয়ারি সকালে রেড রোডে ১৫ অগস্ট এবং ২৬ জানুয়ারির ধাঁচে পুলিশের কুচকাওয়াজ থাকবে। বিভিন্ন স্কুল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্লাবও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। অংশগ্রহণ করবে বেলুড় মঠ এবং সারদা মঠও। কুচকাওয়াজের শেষে সাংসদ তহবিল থেকে বিভিন্ন সংগঠনকে দেওয়া ১১৫টি অ্যাম্বুল্যান্সও অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, “জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, দার্জিলিং থেকে হাজার হাজার স্কুলপড়ুয়া, যুব সম্প্রদায় এবং সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য সংগঠন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।” রাজ্যে ৫ জানুয়ারি বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবর্ষ উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে। ৫ থেকে ১২ জানুয়ারি রাজ্যের সব ব্লকে বিবেক চেতনা ছাত্র-যুব উৎসব হবে। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মেদিনীপুরে। সেখানে একটি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
|
উপাচার্যের বই নিষিদ্ধ |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের লেখা একটি বই পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার নিষিদ্ধ করেছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। বইটির শিরোনাম, ‘কাশ্মীর অ্যান্ড সিন্ধ: এথনিসিটি, নেশন-বিল্ডিং অ্যান্ড রিজিওনাল পলিটিকস ইন সাউথ এশিয়া’। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকারের দাবি, বইটিতে ‘আপত্তিকর’ কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই প্রদেশের শাসনক্ষমতায় এখন রয়েছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। প্রাদেশিক সরকারের স্বরাষ্ট্র ও উপজাতি বিষয়ক দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এই বইটির সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।” সুরঞ্জনবাবু অবশ্য জানান, এই নিষেধাজ্ঞার কথা তিনি জানেন না। তাঁর কথায়, “বইটি প্রায় ৮-১০ বছর আগে লেখা। কলকাতা ও লন্ডনের দু’টি সংস্থা যৌথ ভাবে সেটি প্রকাশ করেছিল। পাকিস্তানেই বইটি উর্দুতে অনূদিত হয়। ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই বই লেখা হয়েছে।’’ |
|
|
|
|
|