নজর আগামী সপ্তাহের বৈঠকের দিকে। সেখানে শিকে ছিঁড়লে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (পিএমও) অতিথি-অভ্যাগতদের আপ্যায়নী চা যেতে পারে অ্যান্ড্রু ইয়ুল-এর বাগান থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রায় রোজ নিয়ম করে পা পড়ে গণ্যমান্য দেশি-বিদেশি অতিথির। তাঁদের আরও ভাল চা পরিবেশনের জন্য সম্প্রতি টি বোর্ডের (চা পর্ষদ) সঙ্গে কথা বলেছিল পিএমও। সেই সূত্রেই পর্ষদ সেরা চায়ের নমুনা চেয়েছে অ্যান্ড্রু ইয়ুলের কাছ থেকে। সেই নমুনা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।
অ্যান্ড্রু ইয়ুল গোষ্ঠীর অন্যতম শাখা অ্যান্ড্রু ইয়ুল টি। চা ব্যবসায় প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এই সংস্থার অসমে ১০টি, ডুয়ার্সে ৪টি এবং দার্জিলিঙে একটি বাগান রয়েছে। বছরে ১.২০ কোটি কেজি চা তৈরি করে তারা।
ক্ষমতার অলিন্দে চা পরিবেশনের ‘অভিজ্ঞতা’ও তাদের রয়েছে। অ্যান্ড্রু ইয়ুলের কাছে কেনা চা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে সরবরাহ করে চা পর্ষদ। সংস্থা সূত্রে দাবি, এ জন্য বছরে প্রায় ১০ হাজার কেজি চা কেনে তারা। এ ছাড়া, তা যায় সংসদে। ভারী শিল্প মন্ত্রকও সম্প্রতি তাদের চা কিনেছে।
গত ৮ নভেম্বর পর্ষদের চেয়ারম্যান এম জি ভি কে ভানু অ্যান্ড্রু ইয়ুলের সিএমডি কল্লোল দত্তকে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, পিএমও-র এনআর ক্যান্টিনে চা পরিবেশনের জন্য সেরা পাতার নমুনা চাওয়া হয়েছে। সেই সূত্রে ভানু কল্লোলবাবুকে তাঁদের সেরা চায়ের নমুনা পাঠানোর আর্জি জানান। কল্লোলবাবু জানিয়েছেন, তা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া, প্যাকেটজাত দামি চায়ের ব্যবসাতেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে এক গুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। হোয়াইট টি, গ্রিন টি, অর্গানিক টি-র সঙ্গে তৈরি হচ্ছে দার্জিলিং চায়ের বিশেষ টি-ব্যাগও।
আগামী অর্থবর্ষে কলকাতা বিমানবন্দরে টি-লাউঞ্জ খুলতে চায় সংস্থাটি। পরে গৌহাটি, ডিব্রুগড়ের মতো তুলনায় ছোট বিমানবন্দরেও তা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে কলকাতাবাসীর জন্য অনলাইনে চা-কেনার পরিষেবাও চালু করতে চায় অ্যান্ড্রু ইয়ুল।
|