নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া নির্বিঘ্নেই উপ-নির্বাচন মিটল আসানসোল ও কুলটি পুরসভার মোট চারটি ওয়ার্ডে।
আসানসোল পুরসভার ১, ৬ ও ৪৭ নম্বর ও কুলটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন ছিল শুক্রবার। আসানসোলে ৬ নম্বর ওর্য়াডের কংগ্রেস প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের কয়েক জন কর্মী-সমর্থককে মারধরের অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, ভোট নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে।
এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামাদেবী স্কুলে ভোট নেওয়ার শুরুতেই ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশেষজ্ঞেরা। যন্ত্র ঠিক করে ফের ভোট শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিট ভোটগ্রহন বন্ধ ছিল। মহকুমাশাসক বলেন, “ইভিএমে সামান্য ত্রুটি ছিল। দ্রুত তা ঠিক করা হয়েছে।” |
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট মেরি গোরেটি স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎই গণ্ডগোল বেধে যায়। সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সেখানে মজুত পুলিশকর্মীরা দু’পক্ষকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে এলাকা ফাঁকা করে দেন। সিপিএমের অভিযোগ, ভোট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাঁদের তিন কর্মীকে মারধোর করেছে তৃণমূল। দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ ৬ নম্বর ওয়ার্ডেরই উপেন্দ্রনাথ স্কুলে গোলমাল বাধে। এক দল বহিরাগত কেন্দ্রে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ সিপিএমের পোলিং এজেন্টের। এর পরেই সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। বিকেল পৌনে ৩টে নাগাদ আবার শ্যামাদেবী স্কুলে এক দল বহিরাগত ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায় ছাপ্পা ভোট ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, “আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে, বুথে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙা হয়েছে।” কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির অন্যতম সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। |
অভিযোগ উড়িয়ে দলের তরফে উপ-নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের দাবি, “নিজেদের মান বাঁচাতে কংগ্রেস ও সিপিএম এ সব ভুয়ো তত্ত্ব তুলে ধরছে।”
|