উপনির্বাচনের ফলাফলে পুরসভার বোর্ডের কোন পরিবর্তন হবে না। কেননা, দিনহাটা পুরবোর্ডের ১৫টি আসনের মধ্যে ১৩টিই বামেদের দখলে। তার মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতেই ৯টি। তৃণমূলের সেখানে মাত্র দু’টি আসন। কিন্তু তাতেও দিনহাটার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন ঘিরে মিছিল থেকে জনসংযোগ কিছুই বাদ রাখেনি ফরওয়ার্ড ব্লক। কেন এমন চেষ্টা? ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহের কথায়, “অন্য বার সময় কম থাকে বলে সব বাড়িতে যাওয়া হয় না। এ বার ওই ওয়ার্ডের একটি বাড়ি (তৃণমূল প্রার্থীর) বাদে সব বাড়িতেই গিয়েছি। প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। রাজ্যে নতুন সরকারকে মানুষ কী চোখে দেখছেন, সেটাও বুঝতে চাইছি।”
তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনহাটায় বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদেও তৃণমূলের জয়জয়কার। তারমধ্যেই দিনহাটা পুরসভার ওই একটি আসনের উপনির্বাচন। আসনটি ধরে রাখার মাধ্যমে আসলে পুর এলাকায় নিজেদের আধিপত্য না কমার বার্তাই দিতে চাইছেন উদয়নবাবুরা। নানা কারণে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ‘ভোটার’দের মান ভাঙাতে তাই এমন মরিয়া চেষ্টা। অন্য দিকে উঠে পড়ে আসরে নেমেছে তৃণমূলও। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে শহর সভাপতি অসীম নন্দীও এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। ২০১৫ সালের পুরভোটের কথা মাথায় রেখেই ওই আসন জেতা যে তাদের জন্যও জরুরি, তা বলছেন দলের কর্মীরাও। দিনহাটা শহর তৃণমূল সভাপতি অসীম নন্দী বলেন, “মানুষ উন্নয়ন চান। রাজ্যে নতুন সরকারের হাত ধরেই যে কাজ এগোচ্ছে, এ সবও বলতে হচ্ছে।”
আসরে কংগ্রেসের অঞ্জনা দাস, বিজেপির সোমা সাহা আছেন। তবে মূল লড়াইটা হচ্ছে বামেদের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী স্বপ্না ভৌমিক ও তৃণমূলের জুলি সাহার মধ্যে। গত নির্বাচনে ফব-র মিনতি সাহার কাছে ৮১ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন জুলি দেবী। মিনতিদেবীর মৃত্যুতে খালি হওয়া ওই আসনে ফের দলের টিকিট পেয়েছেন তিনি। |