বৃষ্টি হলেই হস্টেলের ঘরগুলিতে জল পড়ে। নেই হস্টেল ঘিরে কোনও পাঁচিল। প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় ছাত্রদের। শুধু বহিরাগত নয়, শিয়াল-কুকুর থেকে গরু-ছাগল সকলেরই অবাধ প্রবেশ। ইসলামপুর কলেজের ছাত্রাবাসের ওই বেহাল দশার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহু বার জানিয়েছেন আবাসিকেরা। তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হস্টেল নতুন করে তৈরি করা তো দূরের কথা, সীমানা পাঁচিলের ব্যবস্থাও করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক তথা জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীকেও জানিয়েছেন তাঁরা। মন্ত্রী বলেন, “ছাত্ররা বিষয়টি মৌখিক ভাবে আমাকে জানিয়েছে। শীঘ্রই আমি কলেজ হস্টেলে পরিদর্শনে গিয়ে এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”
|
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল কলেজের ছাত্রাবাস।—নিজস্ব চিত্র। |
ইসলামপুর মহকুমার বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন ইসলামপুর কলেজে। সেখানে কলেজ সংলগ্ন মাঠে রয়েছে ইসলামপুর কলেজের ওই ছাত্রাবাস। তার চারটি ঘরে ১০ জন ছাত্র থাকে। ইসলামপুর কলেজের ওই ছাত্রাবাসের এমন বেহাল দশা সত্ত্বেও ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই থাকতে চায় হস্টেলে। ইসলামপুর কলেজের ওই ছাত্রাবাসের আবাসিকেরা জানিয়েছেন, ঘরের উপরে রয়েছে টিনের ছাউনি। তারও সংষ্কার হয়নি দীর্ঘ দিন। প্রতি বছর বর্ষায় টিনের চাল চুইয়ে ঘরে জল পড়ে। নেই উপযুক্ত রান্না ঘর থেকে স্নানাগার কোনও কিছুই। রান্নাঘরের দরজা ভেঙেছে দীর্ঘ দিন। পরে তা আর না সারানোয় রান্না ঘরের সামগ্রীও চুরি হয়েছে। ছাত্রদের অভিযোগ, একমাত্র নলকূপটি নষ্ট হয়ে গেলে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।
ইসলামপুর কলেজের হস্টেলের এক ছাত্র শ্যামল সরকার বলেন, “গ্রাম থেকে ইসলামপুরে পড়াশুনা করি। হস্টেলে খরচ কম হয় বলে সেখানেই থাকি। তবে হস্টেলে ঘর আরও বেশি থাকলে আরও অনেকে সেখানে থেকে পড়াশুনা করতে পারত।” ইসলামপুর কলেজের হস্টেল প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ উতথ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“দীর্ঘ দিন ধরেই ইসলামপুর কলেজ হস্টেলের জন্য কোনও রকম অনুদান না পাওয়ায় হস্টেলের সংষ্কার করা ও নতুন করে তা তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।” |