সেট টপ বক্সের সমস্যায় জেরবার খোদ শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক পি টি শেরপা। কয়েক মাস ধরে বক্সটি তিনি ব্যবহার করছেন না। ফলে তার মাসিক ভাড়াও দিচ্ছেন না। আর তা আদায় করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তাঁকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। না দিলে ওই বক্স বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক নিজে। শিলিগুড়িতে হার্ডওয়ার মার্চেন্ট ভবনে ভারতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ট্রাই) ও ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিন আয়োজিত একটি উপভোক্তা সচেতনতা সভার আয়োজন করেছিল মঙ্গলবার। সেখানে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির এক সদস্য, কৃষ্ণভজন ঘোষ একটি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও কারণ ছাড়াই গাদা গাদা টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন। এদিন বিকেলে এই সভা উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মোবাইল পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাজির ছিল। সকলের অভিযোগ শুনে তাঁদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন ট্রাইয়ের উপদেষ্টা রুমা পালচৌধুরী।
জেলাশাসক পি টি শেরপা বলেন, “আমার সেট টপ বক্স তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর জিজ্ঞাসা, এর কোনও প্রতিকার কি নেই? ট্রাইয়ের উপদেষ্টা রুমাদেবী বলেন, “সব ক্ষেত্রেই ট্রাইয়ের কাছে অভিযোগ জানালে ট্রাই ব্যবস্থা নেবে। এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অনুষ্ঠানে নর্থ বেঙ্গল টেলিকম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেবাশিস দে অভিযোগ করেন, কোম্পানিগুলো ইচ্ছে মতো তাঁদের ফ্রাঞ্চাইজি বাতিল করে দেয়, কোনও কারণ না দেখিয়েই। এর সুরাহার জন্য ট্রাইয়ের কাছে আবেদন জানান তাঁরা। শিলিগুড়ি উপভোক্তা বিষয়ক ফোরামের সহকারী নির্দেশক গোপাল রায় বলেন, “কোনও সমস্যা হলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে প্রতিটি জেলায় ট্রাইয়ের একটি করে যোগাযোগ কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।” সমস্ত অভিযোগই ট্রাইয়ের পক্ষ থেকে নথিভুক্ত করা হয়। রুমাদেবী বলেন, “+৯১ এই নম্বর ছাড়া অন্য কোনও নম্বর দিয়ে শুরু কোনও মোবাইল নম্বর থেকে ফোন এলে তা ধরবেন না। তা ছাড়া, যে কোনও রকম অভিযোগ নথিভুক্ত করতে adv.kolkata@trai.gov.in এই সাইটে যোগাযোগ করা যেতে পারে।” এ দিনের সভার অন্যতম আয়োজক ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিত দাস বলেন, “এই ধরনের শিবিরে মানুষের সচেতনতা যেমন বাড়বে তেমনি পাল্টা অভিযোগ হলে কোম্পানীগুলির প্রতারণাও অনেক কমবে।” |