রাজ্যের পাঁচটি পুরসভায় ভোটের ঠিক আগের দিন অন্য তিনটি পুরবোর্ড দখলে নিল তৃণমূল। মূলত কংগ্রেস কাউন্সিলররা দলবদল করাতেই বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া, আসানসোল এবং বজবজের পূজালি—তিন পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল।
এ দিন আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাত কংগ্রেস কাউন্সিলর
তৃণমূলে যোগ দিলেন। কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তাঁরা দলবদল করেন। ৫০টি আসনের এই পুরসভায় বোর্ড ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের। সেখানে তিনটি আসনে আজ, শুক্রবার উপ-নির্বাচন রয়েছে। বাকি ৪৭ আসনের মধ্যে ১৯টি তৃণমূলের, ১২টি কংগ্রেসের ও ১৬টি বামেদের দখলে ছিল। এ দিনের দলবদলে তৃণমূলের আসন বেড়ে হল ২৬। ফলে, উপ-নির্বাচনের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল তারা।
মাস দু’য়েক আগে এক কংগ্রেস মেয়র পারিষদকে পদ থেকে সরানোর ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ বাধে আসানসোলে। দিন কয়েক আগে ক্ষমতাসীন জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দেয় কংগ্রেস। এর পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলরদের দলে এনে বোর্ড দখলে রাখল তৃণমূল।
একই ভাবে বজবজের পূজালি পুরসভাও এ দিন দখল করল তৃণমূল। ১৫ আসনের এই পুরসভায় কংগ্রেসের ন’জন, সিপিএমের এক ও তৃণমূলের পাঁচ জন কাউন্সিলর ছিলেন। এ দিন কংগ্রেসের ন’জনের মধ্যে পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান-সহ আট জন এবং একমাত্র সিপিএম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলেন।
কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে উলুবেড়িয়াতেও নিরঙ্কুশ ভাবে বোর্ড পেল তৃণমূল। এত দিন কংগ্রেস-তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভার ২৯টি আসনে দু’দলের মোট ১১জন করে কাউন্সিলর ছিলেন। বাম কাউন্সিলর রয়েছেন সাত জন। এ দিন চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ১৫টি আসন তৃণমূলের দখলে এল বলে মুকুলবাবু জানান।
তাঁদের কাউন্সিলরদের দলত্যাগ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, “লোভ ও ভয় দেখিয়ে বা পুলিশকে ব্যবহার করে কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল।
তাতে কিন্তু কংগ্রেসের কর্মীরা দমছেন না। তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।” |