একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সরঞ্জাম কেনার টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএম পরিচালিত হাসনাবাদের ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই আন্দোলনের জেরে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম বন্ধ থাকে। |
তালা দিল তৃণমূল।—নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধান ও তাঁর দল সুবিধা নিতে অর্থ উপ-সমিতির বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে কিছু না জানিয়েই একতরফা ভাবে ওই প্রকল্পে বিশেষ লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছে। টেন্ডার বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের দাবি, সব নিয়ম মেনেই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তার নথি বিডিওকে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দু’পক্ষই সমস্যার সমাধানের জন্য বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন। হাসনাবাদের বিডিও শ্যামলাল হালদার বলেন, “উভয় পক্ষের অভিযোগ এবং দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই প্রকল্পের জেলা আধিকারিককে জানানো হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে সরঞ্জাম কেনার জন্য টেন্ডার ডাকতে হলে পঞ্চায়েতের অর্থ সমিতির সদস্যেরা (প্রধান, উপপ্রধান, চার জন সঞ্চালক এবং বিরোধী দলনেতা) মিলিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই নিয়ম অগ্রাহ্য করে প্রধান বিরোধী দলনেতাকে না জানিয়ে টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ওই টেন্ডার খোলার আগের দিন (৮ অক্টোবর) বিরোধী দলনেতাকে জানানো হয়। টেন্ডার বাতিলের দাবি জানানো হয় প্রধান, বিডিও, মহকুমাশাসক এবং প্রকল্পের জেলা আধিকারিককে।
বুধবার সকালে মিছিল করে এসে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। ওই সময়ে দু’পক্ষের বচসায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ আসে। বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের তরফে আলোচনার আয়োজন করা হয়। তৃণমূল সেখানে উপস্থিত থাকলেও বামেরা কেউ যাননি। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। বিরোধী দলনেতা আবু সাহিদ গাজি বলেন, “আমাদের না জানিয়ে প্রধান গোপনে তাঁর লোকদের দিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে ওই প্রকল্পের জন্য সরঞ্জাম কেনার টেন্ডার ডাকেন।” অভিযোগ উড়িয়ে প্রধান রেজাউল মোল্লা বলেন, “সব নিয়ম মেনে, সকলকে জানিয়েই টেন্ডার ডাকা হয়। টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র বিডিওকে দেওয়া হয়েছে।” |