|
|
|
|
নন্দীগ্রামে বাইপাসের কাজ শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেমিক্যাল হাবের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের জেরে একদা শিরোনামে এসেছিল নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামেই রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণে সম্মতি দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। নন্দীগ্রাম বাজার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে তেখালি সেতুগামী তাঁরাচাঁদবাড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ বাইপাস তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণে সম্মতি জানিয়েছেন ১৩৪ জন জমি মালিক। জমির দাম বাবদ টাকাও নিয়েছেন জমি মালিকরা। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক অফিস সংলগ্ন মাঠে এক অনুষ্ঠানে ওই রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা করলেন তমলুকের সাংসদ তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাস্তার জন্য ২.৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জমি মালিকদের আলোচনার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণে সম্মতি মিলেছে। ১৩৪ জন জমি মালিকের সবাই জমির দাম বাবদ টাকা নিয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা
ব্যয়ে বাইপাস রাস্তা তৈরির জন্য ঠিকাদারও নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা হয়ে গেলে তা আলো দিয়ে সাজানো হবে।” |
|
ছাত্রীদের সাইকেল ও কৃতীদের সংবর্ধনা সভায়। |
উল্লেখ্য, গত বছর নন্দীগ্রামে এসে ওই রাস্তা তৈরির শিলান্যাস করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই কাজ শুরু হল। নন্দীগ্রামবাজার সংলগ্ন জমি মালিক পরিতোষ দাস বলেন, ‘‘রাস্তা তৈরির জন্য আমাদের চার ভাইয়ের মিলে মোট ২০ ডেসিমল জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। আমরা সম্মতি জানিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দা আসগর আলি বলেন, ‘‘আমার বাড়ি সংলগ্ন সাড়ে ১৬ ডেসিমল জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরেই জমি অধিগ্রহণে সম্মতি জানিয়েছি। জমির দাম বাবদ টাকাও নিয়ে নিয়েছি। আমরা চাই দ্রুত ওই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হোক।”
এ দিন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতি ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তরফে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে চারগোলিয়া থেকে ভীমকাটা, সাহাপাড়া থেকে রাজারামচক ও নন্দীগ্রাম থেকে কেন্দেমারিচর এই তিনটি পাকা রাস্তার কাজের শিলান্যাস করেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে সরকারি প্রকল্পে ছাত্রীদের সাইকেল, কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে কৃষকদের পাম্পসেট, কিষান ক্রেডিট কার্ড, ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা তুলে দেওয়া হয়। শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। সবাইকে চাকরি দিতে পারা যাবে না। কিন্তু সরকারি বিভিন্ন স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়ে যাতে সকলে আয় করতে পারে তার চেষ্টা চলবে।” |
|
নন্দীগ্রামে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস। |
শুভেন্দু জানান, হিজলি টাইডাল ক্যানেলের নন্দীগ্রামের বামুনিয়া থেকে খেজুরি সীমানা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ হবে শীঘ্র। ওই খাল সংস্কার হলে খালের দু’দিকের চাষ জমিতে সেচের ব্যবস্থা হবে। শুভেন্দুর ঘোষণা, ‘‘পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তরফে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ হচ্ছে নন্দীগ্রামে। উন্নয়নে নন্দীগ্রাম ভারতবর্ষের মধ্যে এক নম্বর স্থান দখল করবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক পি উলগানাথন, হলদিয়ার মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর প্রমুখ।
|
—নিজস্ব চিত্র।
|
|
|
|
|
|