|
|
|
|
গোয়ালতোড়ে শিল্পের জন্য জমি দেখল দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধিরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গোয়ালতোড়ের পাটবীজের খামারে শিল্পের জন্য জমি দেখানো হল কোরিয়ার প্রতিনিধিদলকে।
বৃহস্পতিবার ট্রেড সেন্টারের ডিরেক্টর জেনারেল ডং সিওক চয় ও ভারতের দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার টি আই চুং-কে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে নিয়ে যান রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি এবং জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক অরিন্দম দত্ত। |
|
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চলছে জেলা প্রশাসনের আলোচনা। —নিজস্ব চিত্র। |
গড়বেতা-২ ব্লকের (গোয়ালতোড় বলে পরিচিত) দুর্গাবাঁধে অবস্থিত কৃষিবীজের খামারটি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। রেললাইনের দূরত্বও কমবেশি তাই। জমি দেখে কেমন অভিজ্ঞতা হল জানতে চাইলে তাই কোরিয়া ট্রেড সেন্টারের ডিরেক্টর জেনারেল ডং সিওক চয় বলেন, “জমিটি খুবই প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক স্তর।” প্রতিনিধিদল জমি নিয়ে কোরিয়া সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেবে। কোরিয়ার বিভিন্ন শিল্পদ্যোগীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন প্রতিনিধিরা। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর কোনও সংস্থা যদি এ রাজ্যে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হয় তাহলে তাঁদের এখানে পাঠাবেন। টি আই চুং-এর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শিল্পের জন্য জমির প্রয়োজন। তাই জমি দেখতে এসেছিলাম। আমরাও চাই এখানে শিল্প হোক। শিল্প হলে কর্মসংস্থান হবে।”
দুর্গাবাঁধে কৃষি দফতরের খামারে অবশ্য অনেকটাই জমি রয়েছে। জমির পরিমাণ ৯৫০.১৬ একর। যার মধ্যে মাত্র ২২০ একরের মতো জমিতে বিভিন্ন বীজ তৈরির কাজ হচ্ছে। বাকিটা পড়েই রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পদ্যোগীরা আগ্রহী হলে বীজ খামারের জন্য প্রয়োজনীয় ২০০-২৫০ একর জমি রেখে বাকিটা শিল্পের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু জাতীয় সড়ক থেকে বাকি রাস্তা? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় শিল্পের উপযোগী পরিকাঠামো তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু করেছে সরকার। শিল্পদ্যোগীরা শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হলে কোনও সমস্যাই থাকবে না। তখন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম রাস্তা তৈরি করে দেবে। যাতে জাতীয় সড়ক বা ট্রেন থেকে ওই এলাকায় কম সময়ে দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোরিয়ার প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে, এই এলাকায় সহজে শ্রমিক পাওয়া যাবে, ঝাড়খণ্ড বা অন্য রাজ্য থেকে কাঁচামালও নিয়ে আসার সমস্যা নেই। প্রতিনিধি দল কী জানায়, এখন তারই অপেক্ষায় রাজ্য সরকার। |
|
|
|
|
|