|
|
|
|
বুথে ভিডিও ক্যামেরা, নিরাপত্তায় মোড়া শহর
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরভোট ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে পুলিশ-প্রশাসন। বুথে-বুথে পুলিশ, ভিডিও ক্যামেরাসবেরই আয়োজন রয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে সবস্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশিকা পৌঁছেছে মেদিনীপুরে। সেই নির্দেশ মতোই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর পুরভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত। তিনি বলেন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভোট নির্বিঘ্নেই হবে।”
যদিও পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কা করছে বিরোধী-শিবির। বৃহস্পতিবার থেকেই চাপা সন্ত্রাস শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ ভোটের দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দরবারও করেছে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দল। জেলা থেকে পাঠানো হয়েছে দাবিপত্র। |
|
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “আমরা চাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিক। বেশ কয়েকটি এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের এই আশঙ্কার কথা যেখানে জানানোর জানিয়েছি।”
যদিও পুরভোটে অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। তাঁর কথায়, “অশান্তি হবে কেন? অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই হবে। বিরোধী-শিবির অপপ্রচার করছে।”
মেদিনীপুরে এ বার বুথ সংখ্যা ১৫৩টি। ভোটগ্রহন কেন্দ্র রয়েছে ৬৪টি। এরমধ্যে একটি মাত্র বুথ রয়েছে, এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮টি। দু’টি বুথ রয়েছে ২৬টি কেন্দ্রে, তিনটি বুথ রয়েছে ৬টিতে, চারটি বুথ রয়েছে ৭টিতে, পাঁচটি বুথ রয়েছে ৫টিতে এবং ছ’টি বুথ রয়েছে ২টি কেন্দ্রে। সব বুথেই সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকছে। পাশাপাশি, শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের এক-একটির দায়িত্বে এক-একজন এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। এ জন্য ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১ থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটির দায়িত্বে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অন্যদিকে, ১৪ থেকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে সবমিলিয়ে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। |
|
স্কুলে পৌঁছলেন ভোটকর্মীরা। মেদিনীপুরের মোহনানন্দ বিদ্যামন্দিরে তোলা ছবি। |
সব ক’টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভিডিও ক্যামেরা থাকছে। কেন্দ্রের সামনে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত। সামান্য জটলা-গোলমাল হলেই তা ক্যামেরায় ধরা পড়বে। সহজেই জানা যাবে, ঠিক কী নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত, কে বা কারা গোলমালে জড়িয়ে ছিলেন। বুথ এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশাপাশি আরও পুলিশ কর্মী মেদিনীপুরে থাকছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। পাথরঘাটা, ধর্মা, তাঁতিগেড়িয়া, রাঙামাটি-সহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। এই সব এলাকা শহরের একপাশে। অদূরে পঞ্চায়েত এলাকা। বহিরাগত লোকজন শহরে ঢুকে যাতে অশান্তি ছড়াতে না-পারেন, সেই জন্য বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা। পুরভোটের দু’জন পর্যবেক্ষকও মেদিনীপুরে রয়েছেন। একজন নিত্যানন্দ মণ্ডল, অন্যজন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিতাভবাবুর দায়িত্বে রয়েছে ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। নিত্যানন্দবাবুর দায়িত্বে ১৬ থেকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড।
পুলিশ-প্রশাসন তৈরি। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হয়েছে। এ বার অশান্তি এড়িয়ে সুষ্ঠু ভাবে পুর-নির্বাচন হয় কি না, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|