|
|
|
|
ট্রামলাইন সংস্কারে কেন গাফিলতি, তলব কর্তাকে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ট্রামলাইনের ভগ্নদশার কথা জেনেও কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা জানতে সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈনকে তলব করলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। শুক্রবার মন্ত্রী তাঁকে নিজের দফতরে ডেকেছেন। যদিও প্রকাশ্যে বিষয়টি স্বীকার করেননি মন্ত্রী। শুধু বলেন, “সিটিসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কী ভাবে এড়ানো যায়, তা আলোচনা হবে।” এমন দুর্ঘটনা এড়াতে কলকাতার সব ট্রামলাইন অবিলম্বে কংক্রিট করার জন্য অর্থ দফতরের কাছে দ্রুত বরাদ্দের আর্জিও জানিয়েছে পরিবহণ দফতর।
বুধবার দুর্ঘটনার পরে সিটিসি-র চেয়ারম্যান বলেছিলেন, তিনি রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে ট্রামলাইনের ভগ্নদশার কথা জানতেন। যদিও শান্তিলালবাবু বলেন, “তলবের ব্যাপার নেই। আমরা সরকার এবং এইচআরবিসি-কে গত দু’বছরে চার-পাঁচ বার বিষয়টি জানিয়েছি। নানা কারণে সংস্কার হয়নি।’’ সিটিসি সূত্রের খবর, পুজোর আগে শেষ বার পরিবহণ দফতরের কাছে কলকাতার বিভিন্ন ট্রামলাইনের বেহাল দশার কথা জানিয়ে সংস্কারের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি পরিবহণ দফতর। |
|
বোধোদয় ১: জরুরি ভিত্তিতে শুরু হচ্ছে ট্রামলাইন কংক্রিট করার কাজ। |
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বুধবারের দুর্ঘটনার পরে তড়িঘড়ি ট্রামলাইন সংস্কারে হাত দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ কর্তাদের দাবি, যে সমস্ত ট্রামলাইন কংক্রিট হয়নি, সেখানেই এ ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়ে গিয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে দ্রুত ওই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক কর্তা বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু ট্রামলাইন কংক্রিট করা হবে। কাজ শেষ করতে প্রায় এক বছর লাগবে।” পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “এ কাজে আরও ৪২ কোটি টাকার প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই টাকা চেয়ে অর্থ দফতরকে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আগামিকাল পরিবহণ দফতর ও সিটিসি-র কর্তাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে কোন কোন ধাপে ওই কাজ হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
তবে এইচআরবিসি না সিটিসি কাকে দিয়ে কাজ করানো হবে, এখনও তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিটিসি-র এক কর্তা বলেন, “এত দিন পর্যন্ত এইচআরবিসি ট্রামলাইন কংক্রিট করার কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের কাছে ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট ভাল দল রয়েছে। সে কারণে আমরা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে এই কাজ করতে চেয়েছি।”
সিটিসি সূত্রের খবর, বুধবার রাত বারোটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর চারটে পর্যন্ত সিটিসি-র একটি দল রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে দুর্ঘটনাস্থলে ট্রামলাইন মেরামতির কাজ করেছে। এ দিন থেকে ওই দলটি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ট্রামলাইনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। সিটিসি-র ওই কর্তা বলেন, “রাতে ছাড়া আমরা মেরামতির কাজ করতে পারি না। সে কারণে ওই দলটিকে সারা দিন ধরে কংক্রিট নয়, এমন ট্রামলাইন পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কোনও জায়গায় ত্রুটি পেলে রাতে সেই জায়গাগুলি মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে ওই কর্তার দাবি, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের গোড়া পর্যন্ত কলকাতা শহর জুড়ে ট্রামলাইন সংস্কারের কাজ চলেছে। তার পরে কলকাতায় ট্রামলাইনের হাল অনেকটাই ফিরেছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্তা। |
|
|
|
|
|