|
|
|
|
মান্নার চিতাভস্ম আনতে মেয়ে চান পুলিশি নিরাপত্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও মান্না দে-র মরদেহ কলকাতায় আনতে দেননি তাঁর মেয়ে সুমিতা দেব। শিল্পীর চিতাভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন দিতে ২৪ নভেম্বর, রবিবার কলকাতায় আসতে চেয়েছেন তিনি। তবে তার জন্য পুলিশের কাছে ‘উপযুক্ত’ নিরাপত্তা চেয়েছেন মান্না-তনয়া। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মান্নাবাবুর মেয়ে এই ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে একটি চিঠিও লিখেছেন।
মান্নাবাবুর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা যে-শহরে, সেই কলকাতায় তাঁর মেয়ে নিরাপত্তা চাইছেন কেন?
ডিজি-র কাছে পাঠানো চিঠিতে সুমিতাদেবী লিখেছেন, তাঁর বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার গরমিল নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিবাদ চলছে। পাশাপাশি একটি বড় বাংলা সংবাদপত্রের নাম করে তাঁর অভিযোগ, ওই সংবাদপত্র তাঁর বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করেছে। এই অবস্থায় কলকাতায় তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে সুমিতাদেবীর আশঙ্কা। তাই তিনি পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চান।
প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী মান্নাবাবু ২৪ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে প্রয়াত হন। ২৪ নভেম্বর তাঁর প্রয়াণের এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। সেই জন্যই ওই দিন কলকাতার গঙ্গায় বাবার চিতাভস্ম বিসর্জন দিতে চাইছেন সুমিতাদেবী।
মান্নাবাবুর মরদেহ কলকাতায় আনতে চেয়ে সুমিতাদেবীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুমিতাদেবী সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, শিল্পীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সমস্যার সমাধান চেয়ে তিনি কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনও রকম সাহায্য পাননি। তাই তিনি কলকাতায় বাবার মরদেহ পাঠাবেন না। তার পরে বেঙ্গালুরুতেই মান্নাবাবুর সৎকার করেন তাঁর মেয়ে ও জামাই। সরকারি অনুরোধ মেনে তখন শিল্পীর চিতাভস্মও কলকাতায় পাঠাতে রাজি হননি তাঁরা। সুমিতাদেবীর এই সিদ্ধান্তে এ রাজ্যের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। অনেকে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন সুমিতাদেবীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, নিতান্ত ব্যক্তিগত কারণকে সামনে রেখে বাংলার মানুষের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন মান্নাবাবুর মেয়ে।
রাজ্য অবশ্য মান্নাবাবুর মেয়ের প্রতি কোনও নেতিবাচক মনোভাব দেখায়নি। বরং সুমিতাদেবী কলকাতায় এলে তাঁর দাবিমতো নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। |
|
|
|
|
|