|
|
|
|
পুর-ভোটের নিরাপত্তায় তৎপরতা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ভোটের ঠিক দু’দিন আগে বোমা বাঁধতে গিয়ে এক জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে হাওড়ায় আরও সতর্ক হচ্ছে পুলিশ। আজ, শুক্রবার পুর-ভোটের দিন গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হচ্ছে পুলিশি নিরাপত্তায়। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের নিজস্ব ১৫০০ কর্মী ছাড়াও আশপাশের জেলা সদর থেকে আনা ৩৫০০ পুলিশ মোতায়েন হচ্ছে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে থাকবে ভিডিও রেকর্ডিং-এর ব্যবস্থা।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পুরসভার ৫০টি আসনের জন্য ৩১৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৯৮৭টি বুথে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। মোট ভোটদাতার সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪০ জন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাশ বলেন, “পুরভোটে এ বার ৭ জন পর্যবেক্ষক থাকছেন। তাঁরা প্রতিটি বুথে ঘুরে বেড়াবেন। বুথের সামনে থাকবে ভিডিও রেকডিং-এর ব্যবস্থা। ভোট গণনা হবে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।” জেলাশাসক জানান, বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ভোটকর্মীরা ভোটযন্ত্র নিয়ে যে যাঁর ভোটকেন্দ্রে রওনা হয়ে গিয়েছেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বলেন, “ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাই ৫০০০ পুলিশকর্মী ও অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে থাকছে দ্বিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথমে থাকছে লাঠিধারী পুলিশ। পরের ধাপে থাকছে সশস্ত্র পুলিশ প্রহরা। যে কোনও গোলমালের খবর পেলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো যায়, সে জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।” ডিসি (সদর) আরও জানান, হাওড়া শহরে ঢোকার সব ক’টি রাস্তায় নজরদারি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা যাতে না ঢুকতে পারে, তাই পাশের জেলা হুগলি ও কলকাতাকে সতর্ক করা হয়েছে। ভোটের শহরে নজর রাখবে ১২টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৯টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ২০টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড।
আজ, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনকে ঘিরেও জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের উত্তর ডিভিশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কাশীপুর এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড জোড়াবাগান এলাকায় মোট ৭৭টি বুথ আছে। উত্তর ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার গৌরব শর্মা-সহ ডিসি (ডিডি) সুমনজিৎ রায়, ডিসি (প্রথম ব্যাটালিয়ন) হৃষিকেশ মিনা থাকছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। তবে পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন যুগ্ম কমিশনার (সশস্ত্র পুলিশ) সরোজকুমার গজমের।
লালবাজারে যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র জানান, ২০টি জায়গায় নাকাবন্দি থাকবে। ৫টি সেক্টর মোবাইল ও দু’টি ক্ল্যাস্টার মোবাইল ভ্যান ঘুরবে ওই দু’টি এলাকায়। এ ছাড়া হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, স্প্যেশাল রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডও থাকছে। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও।
বিধাননগর কমিশনারেটের রাজারহাট-গোপালপুর পুর-এলাকায় ২৩ নম্বর এবং বিধাননগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও উপনির্বাচন এ দিন। ভোট ঘিরে দু’টি ওয়ার্ডেই উত্তেজনা তুঙ্গে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার থেকেই তৎপর পুলিশ। বিকেলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি ব্লকেই রুট মার্চ করেছে পুলিশ। ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নাকাবন্দিও করা হয়। রাস্তায় দেখা যায় রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। বিধাননগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ৯টি বুথ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ৮টি বুথ। পোলিং স্টেশনগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারাদিন প্রায় ১০০ জন পুলিশকর্মী ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে টহল দিয়েছেন। বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করতে দু’টি ওয়ার্ডেই বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|