সাত মাসেই কথা, রেকর্ড গড়ল খুদে
বাই ওকে দেখেশুনে অবাক। এক বছরে পা দেবে সে আগামিকাল। তার আগেই একরত্তি জোনাথন যে যে কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে, তাতে চোখ কপালে অনেকেরই।
জন্মের সময়েও মাকে বেশি কষ্ট দেয়নি এই খুদে। মায়ের মাত্র পাঁচ মিনিটের গর্ভযন্ত্রণার পরেই নাকি পৃথিবীর আলো দেখেছিল জোনাথন। তার পর থেকে তার জীবন দারুণ গতিময়। তার বয়সী অন্য শিশুদের তুলনায় তাই সে অনেকটাই এগিয়ে। এক বছর ছুঁয়ে অনেক বাচ্চা সবে টলমল পায়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে। আর জোনাথন সে সব শিখে ফেলেছে সাত মাসেই। তখন থেকেই রপ্ত করে ফেলেছে হাঁটাচলা। শিখে ফেলেছে কথা বলাও। শুধু তাই নয়, জনাথনের মায়ের দাবি, সে নাচটাও সে ভালই করে।
বার্মিংহামের এই বিস্ময় শিশুর কীর্তি কিন্তু এখানেই শেষ নয়। মায়ের ল্যাপটপেও দারুণ সড়গড় জোনাথন। কী ভাবে রিমোট দিয়ে চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভি দেখতে পায়, তা-ও জানে সে। তার মায়ের কথায়, “ও খুব চালাক। কী তাড়াতাড়ি যে বড় হয়ে গেল, ভাবা যায় না! এখনও বিশ্বাস হয় না, সাত মাস বয়স থেকে ও মামি বলতে শুরু করেছিল!” আর এখন তো রীতিমতো বলিয়ে-কইয়ে হয়ে উঠেছে সে। তার মায়ের দাবি, জন্মক্ষণের সঙ্গে ওর প্রতিভার একটা যোগ রয়েছে। কোনও শিশুই মাকে এত কম সময়ের গর্ভযন্ত্রণা দিয়ে ভূমিষ্ঠ হয় না। জনাথন তো তখন থেকেই কেরামতি দেখাতে শুরু করেছে। তার বাবা-মায়ের মতে, খুব দ্রুত কোনও জিনিস শিখে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে জোনাথনের মধ্যে। ওর মনের গঠন দু’বছরের বাচ্চার মতো। শরীরেও দ্রুত বাড়ছে জোনাথন।
আগামিকাল জন্মদিনে তাই ছেলেকে উপহারে ভরিয়ে দিতে চাইছেন বাবা-মা। ড্রাম আর মিনি পিয়ানো দেওয়া হবে ছোট্ট জোনাথনকে। তার দাদু-ঠাকুরমা জানেন পুঁচকে ছেলেটাকে সব্বাই খুব ভালবাসে। তাঁরা জানিয়েছেন, ওর বাবা-মা কখনও চায়নি ছেলের উপরে কোনও কিছু চাপিয়ে দিতে। ও সত্যিই অবাক করে দিয়েছে সব্বাইকে। দ্রুত সব কিছু শিখে ফেলার ইচ্ছেটা ওর মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.