কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত আসানসোলে।
অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, পুরসভার ডেপুটি মেয়র কংগ্রেসের অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম তৃণমূলে যোগ দেবেন। তাঁরা এ ব্যাপারে এত দিন সরাসরি কিছু স্বীকার করতে না চাইলেও বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলবদল সেরে ফেললেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের আরও দুই কাউন্সিলর রীতা বিশ্বাস ও নুরবকত পারভিনও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। গত সপ্তাহে আরও তিন জন কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই সাত জন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসানসোল পুরসভায় কংগ্রেসের কাউন্সিলরের সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়াল পাঁচ জন। তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বেনে দাঁড়াল ২৬। ফলে, ৫০ আসনের এই পুরসভায় তৃণমূলের দখলে গেল ২৬টি। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল তারা। |
গত সপ্তাহেই আসানসোল পুরসভায় ক্ষমতাসীন জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার কথা জানিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। সোমবার প্রদেশের তরফে সেই চিঠি ফ্যাক্স মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলের পর্যবেক্ষক মনোজ পাণ্ডে দাবি করেন। সে দিন মনোজবাবু দাবি করেছিলেন, আসানসোলে আর কোনও কাউন্সিলর দলবদল করবেন না। কিন্তু তার পরেও দলবদল অব্যাহত। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা যেতে চান তাঁদের জন্য দরজা খোলা আছে। তবে ওরা দ্রুতই নিজেদের ভুল বুঝবেন।” দলবদল করলেন কেন?
এ প্রশ্নে ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আসানসোলের নেতাদের একাংশ চাইছিলেন না আমরা দলে থাকি। তাই ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম।” মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন, যে ওয়ার্ডবাসী তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাঁরাই চেয়েছেন বলে তিনি দল ছেড়েছেন।
আজ, শুক্রবার আসানসোলের তিনটি ও কুলটির একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন রয়েছে। আসানসোলের ১, ৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ও কুলটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট হবে। আসানসোলের ১ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি আগে বামেদের দখলে ছিল। ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছিল তৃণমূলের দখলে। কুলটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে গত বার জিতেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী। এ বার সব ওয়ার্ডেই কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। |