মোটর বাইক ঘিরে ধরে গুলি করে খুন করা হল মালদহের কালিয়াচকের এক তৃণমূল কর্মীকে। তাঁর নাম কামালউদ্দিন বিশ্বাস (৪২)। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, কংগ্রেসের মদত পুষ্ট দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।” কামালউদ্দিন দিন মজুর সরবরাহকারী। মমালদহ শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এ দিন সকালে মালদহ থেকে রওনা দিয়ে কামালউদ্দিন শ্বশুরবাড়ি করারিচাঁদপুরে তাঁর মোটর বাইক নিতে গিয়েছিলেন। তার পরে তাতে চড়ে মোজমপুরে বাড়ি ফেরার পথে মাঝরাস্তায় ধূলাউড়িতে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে থাকে। একটি গুলি লাগে তাঁর বুকে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। দলীয় কর্মী খুনের পরে হাজার খানেক তৃণমূল সমর্থক কালিয়াচক থানায় বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কালিয়াচকে কংগ্রেসকর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। তাতে কালিয়াচকে কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরতে শুরু করেছে। হারানো জমি ফিরে পেতে কংগ্রেস কালিয়াচক সন্ত্রাস শুরু করেছে। আজকে আমাদের কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “সিপিএমের সমস্ত সমাজবিরোধীদের তৃণমূল নিয়েছে। এখন সে সব সমাজবিরোধী এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই খুনের সঙ্গে কংগ্রেসের কেউ যুক্ত নয়।” জেলা পুলিশের একাংশের ধারণা, কামালউদ্দিনকে ‘বদলা’ নিতেই খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার কালিয়াচকের বালিয়াডাঙ্গা মোড়ে হাজিকুল শেখ নামে এক যুবককে খুনের চেষ্টা করা হয়। হাজিকুল শেখ একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। তবে অল্পের জন্য হাজিকুল বেঁচে গিয়েছেন। হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাজিকুল শেখকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই ঘটনার জেরেই বদলা নিতে কামালউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।” পুলিশ সুপার বলেন, “সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |