ছিনতাইয়ের নালিশ অস্বীকার দুই নেতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা জবরদস্তি চাঁদা আদায়ের চেষ্টা এবং তা না পাওয়ায় টাকার ব্যাগ ও সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নৃপেন দাস ও যুব বিজেপির সভাপতি বাপি পাল।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী ভবানীশঙ্কর মিত্রুকার অভিযোগ, “গত বৃহস্পতিবার তিনবাতি মোড়ে তাঁর পেট্রল পাম্পে চাঁদা চাইতে যান অভিযুক্তরা। তাঁরা ৩ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে। তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর মানি ব্যাগ, গলার হার সমস্ত ছিনতাই করে তাঁকে কিল-চড়-ঘুষি মারেন।” তাঁর দাবি, ব্যাগে ৫ হাজার টাকা ছিল। এমনকী ক্যাশবাক্সও লুঠের চেষ্টা হয়। লোকজন এসে পড়ায় তারা পালিয়ে যায়। ওই দু’জন সহ মোট ৭ জনের নামে এনজেপি ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ করা হয়।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সমস্ত ঘটনাই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন দুজনই। নৃপেনবাবুর দাবি, “আমি ভবানীশঙ্কর মিত্রুকাকে চিনি না। বিজেপি থেকে বিতাড়িত একটি গোষ্ঠী এই ঘটনার পিছনে মদত দিচ্ছে। সব ঘটনা সাজানো, মিথ্যা। আমরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।” যদিও বাপি পাল চাঁদা চাইতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাঁদা চেয়েছিলাম। তবে না পাওয়ায় জবরদস্তি করিনি। উনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”
ঘটনার ছ’দিন পরেও পুলিশ কেন মামলা দায়ের করল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভবানীশঙ্করবাবু বলেন, “পুলিশ পুরসভার উপনির্বাচনে ব্যস্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে। নির্বাচনের পরেই তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। আমার জিনিসপত্র এখনও ফেরত পাইনি।” শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনও অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” তবে মামলা কেনও করা হয়নি তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।
আলোচনাসভা। মানুষের ওপর হাতি ও বন্যজন্তুদের প্রভাব ও মানুষের ওপর চা-বাগিচার প্রভাব এমন ১৮টি বিষয় নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছে ভারতীয় মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশনের সংগঠনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক সুশান্ত রায় বলেন, আগামী ২৩ ও ২৪শে নভেম্বর মূর্তি এলাকার একটি রিসোর্টে আলোচনাসভা হবে। |