প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি নিয়ে তথ্য চান চেয়ারম্যান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোন স্কুল থেকে কোথায় কত জন শিক্ষক অস্থায়ী ভাবে বদলি করা হয়েছে পদে যোগ দিয়ে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চাইলেন শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নতুন চেয়ারম্যান। বুধবার ওই পদে যোগ দেন সূর্যসেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা কমলকান্তি ঘোষ। আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার বিভিন্ন সার্কেলে থাকা এসআই’দের নিয়ে তিনি বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে ওই সমস্ত বিস্তারিত তথ্য তিনি চেয়ে পাঠিয়েছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, “এই পদে থেকে সততা, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসনিক কাজ করতে চাই। প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার এবং এর উৎকর্ষ বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করব। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজের উপর এর সাফল্য নির্ভর করছে। তাই তাঁদের সঙ্গে এবং পাশাপাশি কর্মী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার।” বৃহস্পতিবার চারটি শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রেই জানানো হয়, স্কুলগুলিতে পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক থাকার জন্য সরকারি নির্দেশ আসে। সেই মতো শিক্ষকদের অস্থায়ী ভাবে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে বদলির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেই কাজ করা হয়নি। গত ২৫ অক্টোবর একটি শিক্ষক সংগঠনের ১৫ জনকে বদলির অনুমোদন দেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তী। তা নিয়ে অপর একটি সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাঁরা অন্য শিক্ষকদের বদলির দাবি তুলে সংসদের দফতরে অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান আলোচনার সময় একটি শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ঘরে ঢুকে বাধা দিলে গোলমাল শুরু হয়। চেয়ারম্যানের সামনেই সংসদের অফিসে ভাঙচুর হয়। পুলিশেও অভিযোগ করা হয়। চেয়ারম্যান পদে সমরবাবুর মেয়াদ ছিল গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। শেষ দিন গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে বসে তিনি দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলির অনুমোদন দেন বলে অভিযোগ। ওই নিদের্শ পুরোপুরি কার্যকর হলে স্কুলগুলির একাংশ শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেন না গ্রামের অনেক স্কুল থেকেই শিক্ষিক-শিক্ষিকারা শহরের স্কুলগুলিতে বদলির অনুমতি পেয়েছেন। শহরের কিছু স্কুলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি করা হয়েছে।
নতুন চেয়ারম্যান মনে করেন, গ্রামের স্কুলগুলি থেকে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা যেমন শহরের স্কুলে আসতে চাইছেন তেমনই শহরের কিছু স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের গ্রামের স্কুলগুলিতে যাওয়াটাও জরুরি। স্কুলগুলির পড়াশোনা সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য তাই সব দিক ভেবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি নেবেন। |