সারদা গোষ্ঠীর মতো অর্থলগ্নি সংস্থার হাত থেকে গরিব মানুষকে বাঁচাতে হলে সমবায় ব্যাঙ্কের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশিই শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সমবায়ের জন্য আলাদা দফতর খুলতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্যের সমবায় দফতরের আমলাদের একাংশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তমলুকের সাংসদ তথা তৃণমূলের যুব নেতা।
সমবায়-সপ্তাহের শেষ দিন, বুধবার কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমবায়ীদের সমাবেশে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শুভেন্দু বলেছেন, কেন্দ্র সমবায় ব্যাঙ্কের আমানতকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আমানত হিসেবে দেখাতে তৎপর। এই অবস্থা চলতে থাকলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা ভবিষ্যতে খারাপ হতে বাধ্য। লগ্নি সংস্থা সম্পর্কে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “লক্ষ রাখবেন, কোনও গ্রামের একটি মানুষও আর যেন ওই সব সংস্থায় টাকা না রাখেন! ওদের আর মাথা তুলতে দেওয়া হবে না! সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে, তা সুরক্ষিত থাকবে।” সমাবেশে এ দিন ভিড় হয়েছিল বিপুল।
শুভেন্দুর অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম সমবায় আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায় না। কেন্দ্র সমবায় ব্যাঙ্ককে এক পয়সা সাহায্য করার বেলায় নেই। উল্টে তাদের লাভের ৩০% আয়কর হিসেবে নিচ্ছে!” তাঁর অভিমত, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সমবায় ব্যাঙ্কের শাখা বাড়ানো এবং নতুন সমবায় ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা দরকার। শুভেন্দুর কথায়, “কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ককে এখন বেঙ্গল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক হিসেবে ডাকা যেতে পারে! কারণ, সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আমাদের রাজ্যের অন্যান্য জেলায় শাখা খোলার অনুমতি দিয়েছে। রাজ্যের সব ক’টি জেলায় আমরা শাখা খুলব।” শুভেন্দু এ দিনের সভায় জানান, তাঁরা পরে শহিদ মিনার এবং ব্রিগেডে সমবায়ীদের সমাবেশ করবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি বদলাতে অন্যান্য রাজ্যের সমবায় আন্দোলনের নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি আলোচনা শুরু করেছেন। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যের সমবায়ীদের সঙ্গে দিল্লির যন্তর-মন্তরে গিয়ে আন্দোলন করার কথাও ভাববেন তাঁরা।
|