টুকরো খবর
সরলের মঞ্চে থাকতে চাইছেন নরেন, ক্ষুব্ধ দল
সদ্যই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কলকাতার জেলা সম্পাদক মইনুদ্দিন শামস। বিক্ষুব্ধ নেতাদের কাজকর্মে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব! এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরেন চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং দলের ‘প্রাক্তন’ নেতা সরল দেবের সঙ্গে এক মঞ্চে নরেনবাবুর থাকতে চাওয়া নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। দলের সঙ্গে এখন কোনও সম্পর্ক নেই সরলবাবুর। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভে তিনি সদস্যপদ নবীকরণ করাননি। ফ ব-ও তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজ্য কমিটি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি থেকে বর্ষীয়ান ওই নেতাকে ছেঁটে ফেলেছে। সেই তাঁর আমন্ত্রণেই সাড়া দিয়ে নরেনবাবু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে গেলে কী করণীয়, তা-ই নিয়েই এখন বিড়ম্বনায় পড়েছেন ফ ব নেতৃত্ব। দলের সঙ্গে সম্পর্ক মুলতবি হওয়ার পর নিজের এলাকা মধ্যমগ্রামে ‘চিত্ত বসু স্মৃতি রক্ষা কমিটি’ গড়ে কিছু কাজকর্ম করেন সরলবাবু ও তাঁর অনুগামীরা। চিত্তবাবুর জন্মদিনকে সামনে রেখে ডিসেম্বরে মধ্যমগ্রামেই একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছে ওই কমিটি। সেই মঞ্চেই আমন্ত্রিত নরেনবাবু।

বরাদ্দ কমাচ্ছে কেন্দ্র: মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্পে দিল্লি অন্যায় ভাবে অংশীদারি কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার উদাহরণ হিসেবে যৌথ প্রকল্পে অংশীদারির প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, “এত দিন কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্পে মোট খরচের ৭৫% টাকা দিত দিল্লি। তা কমিয়ে ৫০% করেছে। অথচ, কিছু রাজ্যকে অনেক বেশি সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এটা চলে না।” তাঁর দাবি, “যৌথ প্রকল্পে রাজ্যগুলিকে অন্তত ৭০% টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে। নয়তো উন্নয়নের কাজ আটকে যাবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও প্রশাসনের একটি মহল অবশ্য অন্য তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র-রাজ্যের নানা যৌথ প্রকল্প রয়েছে। সব প্রকল্পে অংশীদারির পরিমাণ এক নয়। কোনও প্রকল্পে কেন্দ্র ৭৫% টাকা দেয়, কোনও প্রকল্পে ৬৫%, কিছু প্রকল্পে ৫০% টাকা দেয়। এ দিনের বক্তব্যে ফের ঋণের সুদ গোনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, “২০১১-১২ আর্থিক বছরে কেন্দ্রকে ২১ হাজার কোটি টাকা সুদ দিয়েছি। ২০১২-১৩ সালে সেটাই দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটিতে। চলতি অর্থ বছরে দিতে হবে ২৮ হাজার কোটি টাকা।” মমতার অভিযোগ, “বিষয়টি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত এবং মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী কেন্দ্রই।”

তিন বছরের পরিকল্পনা করতে বললেন মমতা
শুধু আগামী বছরের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারই নয়, সব সরকারি দফতরকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরির নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ২০১৪ সালে দফতরগুলি কী কী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে, বছরের গোড়াতেই তার খতিয়ান পেশ করতে হবে প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিতে চলতি আর্থিক বছরের সঙ্গে থাকবে পরবর্তী দু’বছরের কাজের সামগ্রিক পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রার খতিয়ান। ওই কর্তা বলেন, পেশ করতে হতে পারে খরচের হিসেবও। কিন্তু ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ হবে পরিকল্পনাভিত্তিক। কোন দফতর কী প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে, কেন করেছে, তাতে মানুষের কী সুবিধা হবে মূলত এ সবেরই বিস্তারিত ব্যাখ্যা থাকবে তাতে। এখানে কাজ শেষের সময় উল্লেখও বাধ্যতামূলক নয়।

ছাত্রভোট নিয়ে ফের চিঠি রাজ্যের
এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই দিনে ছাত্র সংসদের নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার। সেই জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলে ফের উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর। সেপ্টেম্বরে একটি চিঠিতে ওই দফতর জানিয়েছিল, ফের ছাত্রভোট শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক সব বিশ্ববিদ্যালয়ই। বলা হয়েছিল, এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব কলেজে এক দিনে নির্বাচন করতে হবে এবং সেই নির্বাচন শেষ করতে হবে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। সম্প্রতি আরও একটি চিঠি পাঠিয়ে দফতরের এক কর্তা জানান, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ছাত্রভোটের জন্য এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের নিয়ম আলাদা। রবীন্দ্রভারতী, যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের দিন ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্সি অবশ্য জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

আশঙ্কায় কংগ্রেস
পাঁচটি পুরসভার ভোট এবং ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে শাসক দল প্রশাসনকে ব্যবহার করে রিগিংয়ের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। পাঁচটি পুরসভার ভোট এবং ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচন হবে আগামিকাল, শুক্রবার। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে বুধবার প্রদীপবাবু বলেন, “তৃণমূলের প্রথম সারির এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক নেতা প্রশাসনকে দিয়ে রিগিংয়ের ষড়যন্ত্র করাচ্ছেন।” এ বিষয়ে তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রদীপবাবু দাবি করেন, “আমরা চাই, কমিশন এ ধরনের ষড়যন্ত্র রুখতে উপযুক্ত কঠোর ব্যবস্থা নিক।” ওই ভোটে পঞ্চায়েত এবং সেপ্টেম্বরের পুরভোটের মতোই রিগিংয়ের আয়োজন এবং সন্ত্রাস করা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে বামফ্রন্টও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.