অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। আর কয়েক মাসের মধ্যেই কান্দিতে চালু হতে চলেছে কাঁচা সব্জি রাখার হিমঘর। শহরের মধ্যে রেগুলেটেড মার্কেট চত্বরে প্রায় সাতশো বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরী হবে কুল চেন বা বহুমুখী হিমঘর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিপণন পর্ষদের উদ্যোগে ও কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আর্থিক সহায়তায় রাজ্য জুড়ে ৩৭টি বহুমুখী হিমঘর তৈরী হচ্ছে। পর্ষদের মুখ্য আধিকারিক সুসিত বিশ্বাস বলেন, “২০১১ সাল থেকে রাজ্য জুড়ে বহুমুখী হিমঘর তৈরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতই কাজ চলছে। দ্রুত সেগুলি চালু হয়ে যাবে।”
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে ৩৭টি বহুমুখী হিমঘরের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’টি হিমঘর তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে একটি কান্দিতে ও অপরটি বহরমপুরের কাশিমবাজার রেগুলেটেড মার্কেট চত্বরে। সাতশো বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হওয়া ওই হিমঘরটির দু’শো বর্গফুট জুড়ে রয়েছে হিমঘরের মূল অংশটি। বাকি পাঁচশো বর্গফুট জায়গায় কাঁচামাল গুলি বাছাইয়ের জায়গা হিসেবে রাখা হয়েছে। মূল হিমঘরের মধ্যে পাঁচটি কুল চেম্বার রয়েছে। এলাকার চাষি, কাঁচা সব্জি ও ফল ব্যবসায়ীরা ওই হিমঘরে পণ্য রাখার সুযোগ পাবেন বলেও জানান পর্ষদের কর্তারা।
কান্দি মহকুমা বাজার থেকে শহরের খুচরো ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বড়ঞা, খড়গ্রাম, ভরতপুর ও কান্দি ব্লকের হাজার হাজার খুচরো ব্যবসায়ীরা সব্জি নিয়ে গিয়ে ব্যবসা করে। হিমঘরের খবরে হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি এলাকার চাষি, কাঁচাসব্জি ও ফল ব্যবসায়ীরা।
চাষি সন্তোষ ঘোষ, বিপিন দাসরা বলেন, “অত্যাধিক ফলন হলে বাজারে দাম পাওয়া যায় না। তাই কম দামেই সব্জি বিক্রি করতে হয়। এই হিমঘর হলে সেই সমস্যা মিটবে বলেই আশা।”
কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “এলাকায় এমন একটি হিমঘরের প্রয়োজন ছিল। এর ফলে এলাকার চাষিদের উপকার হবে।” কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার বলেন, “কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি এ রাজ্যে দ্রুত রূপায়িত হোক আমরা চাই। এতে এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো চাঙ্গা হবে।” |