পুরসভা এলাকার উন্নয়নের কৃতিত্ব কার?
পুরভোটের প্রচারের শেষ দিনে আপাতত এই প্রশ্ন নিয়েই চাপান উতোর চলছে কংগ্রেস আর তৃণমূলের। উভয় দলই পুরসভার উন্নয়নের কৃতিত্ব নিজেদের বলে দাবি করেছে। সদ্য কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পুরপ্রধান থেকে শুরু করে বাকি ১৩ জন কাউন্সিলর তো বটেই, বাদ যাননি তৃণমূল প্রার্থীরাও। বিদায়ী পুরবোর্ডের সাফল্যকে ভোটের ময়দানে হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। দাবি, যারা এত দিন পুরসভা চালিয়ে এসেছেন তারা যেহেতু তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিদায়ী পুরবোর্ডের সাফল্যের কৃতিত্ব তৃণমূলেরই। এখানেই আপত্তি কংগ্রেসের। তাদের দাবি, এতদিন ধরে কংগ্রেস পুরবোর্ড পরিচালনা করেছে। তাই শহরের উন্নয়নের দাবিদার তারাই। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহা বলেন, “এত দিন পুরবোর্ড পরিচালনা করল কংগ্রেস। আর দু’দিন আগে কাউন্সিলররা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই কৃতিত্ব তৃণমূলের হয়ে যেতে পারে না।” অসীম বাবু আবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী। অসীমবাবুর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম রায় বলেন, “এই পুরবোর্ডের যা সাফল্য তা যারা এই বোর্ড পরিচালনা করেছেন তাদের পাওনা। আর তারাই আজ আমাদের দলে। তাই কৃতিত্ব আমাদের।” |
বুধবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত ছিল প্রচারের শেষ সময়। এ দিন শহরে কোনও দলের হয়েই কোনও ‘হেভিওয়েট’ নেতা প্রচার করেননি। তেমন বড় মিছিলও বের হয় নি। কাজের কৃতিত্ব নিয়ে দুই দলের মধ্যে চাপান-উতোর প্রসঙ্গে বিদায়ী পুরপ্রধান কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসীম সাহা বলেন, “আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন খাতে যে রেকর্ড পরিমান টাকা আনতে পেরেছি তা অন্য কোনও পুরসভা পারল না কেন?”
প্রচারের শেষ দিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমের দাবি, শহরে বহিরাগতদের নিয়ে এসে সন্ত্রাস ও রিগিং করবে তৃণমূল। দলের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “চাকদহের মত কৃষ্ণনগরেও বাইরের লোক এনে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে তৃণমূল। তবে তৃণমূল আর চাকদহের মত ভোট বয়কট করতে পারবে না।” |