|
|
|
|
এ বার পেঁয়াজের বীজ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
সরষে, মুসুর, বাদাম ও তিলের বীজের পাশাপাশি এ বার জেলায় বিলি করা হবে শীতকালীন পেঁয়াজের বীজও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে খবর, জেলায় চলতি মরসুমে বিনামূল্যে ২০০ কেজি পেঁয়াজ বীজ বিলি করা হবে। দফতরের জেলা আধিকারিক রণজয় দত্ত বলেন, “প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজে যে চারা হবে, তাতে স্বচ্ছন্দে এক বিঘা জমি চাষ করা যাবে। জেলায় দ্রুত এই বীজ বিলি করা হবে। এখন তালিকার কাজ চলছে।”
এই পেঁয়াজ বিলির মাধ্যমে একদিকে যেমন চাষিদের নতুন করে এই চাষে উৎসাহিত করা যাবে, তেমনই সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জেরে ফসলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার মোকাবিলা করাও কিছুটা সম্ভব হবে আশা উদ্যানপালন দফতরের।
গত মাসে অতিবৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ধান-সহ সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিপূরণ দিতে তখন সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকাও তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে জলমগ্ন অবস্থা ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের নানা ধরনের বীজ ও সার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো, ইতিমধ্যেই সর্ষে, মুসুর, বাদাম ও তিলের বীজ বিলি শুরু হয়েছে। দ্রুত ধানের বীজও বিলি করা হবে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন পেঁয়াজের বীজ।
তবে, শুধু শীতকালীন মরসুমে নয়, চলতি বছরেও বর্ষার মরসুমে জলমগ্ন হয়ে পেঁয়াজ খেত নষ্ট হলে সরকারি ভাবে পেঁয়াজ-বীজ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি বীজে জেলার ১১টি ব্লকে চাষ করা হলেও অতিবৃষ্টির জেরে জেলার অধিকাংশ এলাকা দফায় দফায় জলমগ্ন হওয়ায় সবই নষ্ট হয়ে যায়। ৮৮ হেক্টরের মধ্যে মাত্র ৬ হেক্টর ভাল ভাবে পেঁয়াজ চাষ হয়। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর পেঁয়াজ-সহ নানা সব্জির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব রাজ্য দফতরে পাঠানো হয়। তারপরই শীতকালীন পেঁয়াজ চারা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় উদ্যানপালন দফতর। জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, “নাসিক থেকে পেঁয়াজের বীজ এনে চলতি মাসে তা বিলি করা শুরু হবে।” তাঁর ব্যাখ্যা, এই চাষ খুব লাভজনক। তাই চাষিদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ দিতে ও ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|