চাল-ডাল সরবরাহ নেই, রান্না বন্ধ অঙ্গনওয়াড়িতে
কোথাও চাল আছে, ডাল নেই। কোথাও ডাল আছে, চাল নেই। কোথাও আবার চাল-ডাল কোনওটাই নেই। ফলে কাঁথি-৩ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আওতায় থাকা অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির রান্নাবান্না বন্ধ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম থেকে প্রয়োজনীয় চাল-ডাল না-আসার ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁথি-৩ ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক গৌতম সিংহ। অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে ব্লকে চাল-ডাল না পাঠালে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার নেবে বলে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন গৌতমবাবু।
দইসাই কেন্দ্রে শুধুই পড়াশোনা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি-৩ ব্লকে ১৮৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রগুলিতে শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের মানসিক ও শিক্ষার বিকাশে সহায়তা করা ছাড়াও শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টির জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের চাল-ডাল সরবরাহ করে থাকে তাদের নিজস্ব এজেন্ট মারফত। সম্প্রতি কাঁথি ৩ ব্লকে সেই সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় চাল-ডাল পাচ্ছে না কেন্দ্রগুলি। একশোরও বেশি কেন্দ্রে রান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সংখ্যাটা অত বেশি না হলেও বেশ কিছু কেন্দ্রে রান্না বন্ধ রয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক গৌতমবাবু। তাঁর কথায়, “আজ-কালের মধ্যে চাল-ডাল না এলে সবক’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই রান্না বন্ধ হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে ব্লকের গোডাউনে চাল-ডাল কিছুই অবশিষ্ট নেই।’’
কাঁথি-৩ ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ দফতর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রকল্প আধিকারিক গৌতম দাসকে বিষয়টি জানানো হলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, “সমস্যার কথা ব্লক স্তর থেকে জানার পর বিষয়টি নিয়ে অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিগমের একদল প্রতিনিধি আলোচনায় এজেন্ট নিয়ে কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সমস্যা মিটিয়ে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল-ডাল ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে তা হয়নি বলে জানতে পেরেছি। অতি দ্রুত চাল-ডাল পৌঁছনোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে, জেলার অন্য কোথাও এই সমস্যা নেই।”
এ দিকে, রান্না করা খাবার দিতে না পেরে মন খারাপ অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী-সহায়িকাদের। কাঁথি-৩ ব্লক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকা সমিতির সম্পাদিকা চন্দ্রলেখা সাহু বলেন, “ছোটরা আসছে মায়েদের সঙ্গে। তাদের না খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। এদের অনেকের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, বাড়ি গিয়েও খাবার পাবে না জানি। তাই মনটা ভার হয়ে যায়।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.