শেষ প্রচারেও এগিয়ে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
শেষ বেলায় অরণ্যশহরে প্রচারে এগিয়ে থাকল তৃণমূল। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সুকুমার হাঁসদারা পদযাত্রা করলেন। পাঁচমাথা মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় পথসভা করে সৌমেনবাবু ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিলেন, “সক্কাল-সক্কাল তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিন। একটা ভোটও বামেদের বা অন্যদের দিয়ে নষ্ট করবেন না।” ঝাড়গ্রাম শহরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে রোড-শো করেন তৃণমূল কর্মীরা। শহরের সর্বত্রই ছুটে বেড়িয়েছে তৃণমূলের প্রচারগাড়ি। |
|
ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের মিছিল। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
তৃণমূল কর্মীরা মোটর সাইকেল নিয়ে র্যালিও করেন। বাড়ি-বাড়ি প্রচারও চলে সমান তালে। প্রতিটি ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় পথসভা করেন তৃণমূলের প্রার্থী ও কর্মীরা। তৃণমূলের তুলনায় বামেদের প্রচার-ধার অনেকটাই কম ছিল। সেই অর্থে এ দিন কোনও গুরুত্বপূর্ণ বাম নেতাকে প্রচারে দেখা যায়নি। কেবলমাত্র হাতে গোণা চার-পাঁচটি ওয়ার্ডে পথসভা করে বামেরা। মাত্র ৫টি ওয়ার্ডে বামেদের প্রচারগাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। প্রচারের খামতি প্রসঙ্গে সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, “তৃণমূলের বাধায় বেশ কিছু ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী ও কর্মীরা প্রচার করতে পারেননি।” |
|
|
শেষবেলা ঝাড়গ্রামে প্রচারে কংগ্রেস ও সিপিএম। |
|
এ দিন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রচারগাড়িও শহরে ছুটে বেড়িয়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রদেশ সামন্ত, তারক ভট্টাচার্যেরা শহরে একাধিক পথসভা করেন। কয়েকটি ওয়ার্ডে আবার বাড়ি-বাড়ি প্রচারে জোর দেয় কংগ্রেস ও বামেরা। |
|
শেষবেলায় পথে তৃণমূল। |
বিজেপিও এদিন পাঁচটি ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করে। তবে প্রচার-পর্ব সাঙ্গ হওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস, বিজেপি ও বামেরা। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই বাম ও অন্য দলগুলি আতঙ্কিত হয়ে আমাদের নামে মনগড়া নানা অভিযোগ করছে।” |
—নিজস্ব চিত্র। |
|