|
|
|
|
বিস্ফোরক কাম্বলী |
সচিন আর আমি শত্রু হয়ে গিয়েছি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
স্কুল জীবন থেকেই তাঁদের বন্ধুত্বের কথা ক্রিকেটীয় কাহিনিতে জায়গা করে নিয়েছিল। স্কুল ক্রিকেটে দুই বন্ধুর ‘পার্টনারশিপ’ এখনও রেকর্ড বই থেকে মুছে যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। সেটা এমনই যে নিজের বিদায়ী বক্তৃতায় বিনোদ কাম্বলীর নামটা উল্লেখই করেননি সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরে থাক। যা দেখে শুনে ‘আহত’ কাম্বলী আরও একটা বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। বলে দিলেন, “মনে হচ্ছে সচিন আর আমি শত্রু হয়ে গিয়েছি।”
বছর দু’য়েক আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে সচিন প্রসঙ্গে কাম্বলী বলেছিলেন, প্রয়োজনের সময় সচিনের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। ক্রিকেট মহলের ধারণা, এর পর থেকেই সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে দু’জনের। বুধবার ‘জি নিউজ’-এর এক অনুষ্ঠানে এসে কাম্বলী বলেন, “অনেক দিন হয়ে গেল সচিনের গলা শুনিনি। সাত বছর হয়ে গেল আমাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎও হয়নি। ব্যাপারটা আমাকে খুব আঘাত দেয়। আমাদের মধ্যে দু’একটা টেক্সট মেসেজ আদান প্রদান ছাড়া আর কিছু হয়নি। মনে হচ্ছে আমরা শত্রু হয়ে গিয়েছি।”
অবসর নেওয়ার পর এ দিনই সস্ত্রীক সচিন চার্টার্ড বিমানে উড়ে এসেছেন মুসৌরি। যেখানে তিনি থাকবেন তাঁর বন্ধুর হোটেলে। এর আগে একই ভাবে ওয়ান ডে থেকে বিদায় নেওয়ার পরও মুসৌরি এসেছিলেন সচিন।
সচিন যখন ছুটির মেজাজে, তখন টিভি চ্যানেলে নিজের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কাম্বলী। সচিনের বিদায়ী বক্তৃতার কথা জিজ্ঞেস করা হলে কাম্বলী বলেন, “ওখানে সচিন সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছিল। সতীর্থ, পরিবার সবাইকে। শুধু এক জন লোককে ভুলে গিয়েছিল। সেটা হল আমি। ব্যাপারটা ঠিক হয়নি। আমাকে ওর মনে রাখা উচিত ছিল। সচিনের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কিন্তু আমার সঙ্গে ৬৬৪ রানের ওই বিশ্বরেকর্ড পার্টনারশিপটাই।” এর পরে কাম্বলী আরও বলছেন, “ওই জুটিটা না হলে কে কাম্বলী, আর কে সচিন লোকে জানত না। মুম্বইয়ে আমাদের থেকে ভাল ক্রিকেটার ছিল।”
পার্টিতে তাঁকে না ডাকা নিয়ে কাম্বলী বলেছেন, “আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বক্তৃতায় আমার নামটা সচিন ভুলে গিয়েছে। পার্টিতে নিশ্চয়ই ডাকবে। কিন্তু সেখানেও ডাকেনি। না আমাকে, না আমার পরিবারকে। এই ব্যাপারটা আমাকে আরও বেশি আঘাত দিয়েছে। এমন একটা ছেলেকে সচিন ভুলে গেল যে অতীতে ভাল-খারাপ সব সময় ওর পাশে ছিল।” |
|
|
|
|
|