সিপিএম কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় পঙ্কজ রায় নামে ওই ব্যক্তিকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের মদিনা বাজারে। ওই রাতেই পুলিশের কাছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জয় মালিক-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে গোঘাটের তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। মাছ চাষের জন্য পুকুর লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয় আমাদের মদিনা গ্রামের বুথ সভাপতি ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রতনপুরের বাসিন্দা পঙ্কজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছেলেকে নিয়ে মদিনা বাজার গিয়েছিলেন। তিনি এ বার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও ভোটে হেরে যান।
পঙ্কজবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূলের হুমকি সত্ত্বেও সে সময়ে প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করিনি। ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ওরা মারধরের ভয় দেখাচ্ছিল। সেই প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ তুলেই ছেলের সামনে বাঁশ দিয়ে পেটাল।” অন্য দিকে, এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে সঞ্জয় মালিকের বক্তব্য, “মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। মাছ চাষের বিষয় নিয়ে বচসা হয়েছিল।”
ওই বিকেলেই সিপিএম ও তৃণমূলের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরামবাগের পুইন গ্রাম। সিপিএমের জোনাল স্তরের নেতা নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর এবং দলেরই এক সমর্থক রাজীব সাঁতরার চায়ের দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান কাজি নিজামউদ্দিন ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের আবার দাবি, নুরুল ও তাঁর লোকজন বোমা নিয়ে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করে। |