প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা জ্যোতি বসুর মূর্তি ভেঙে আলকাতরা মাখিয়ে দেওয়া হল মূর্তির মুখে। আলকাতরা মাখানো হল ওই মূর্তির পাশেই গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তিতেও।
হাওড়ায় পুর-নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়ার ব্যানার্জিঘাটের কাছে। এমনকী, আগুন লাগানোর চেষ্টাও হয়েছে ভোটকেন্দ্র হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্কুলের ঘরে।
এই ঘটনায় সিপিএম অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, সিপিএমই এই কাণ্ড করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে কেউ জ্যোতিবাবুর মূর্তিতে আলকাতরা মাখালেও পুলকবাবুর মূর্তিতে মাখাতে যাবে কেন?
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যথারীতি এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে আসেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও এ বারের ওই ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিআই-এর কাবেরী মিত্র। তিনি বলেন, “রাতের অন্ধকারে তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনাতেই পরিষ্কার, ২২ তারিখ উত্তর হাওড়ায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা যাবে না।” যদিও এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অশোক ঘোষ বলেন, “সিপিএম এই কাণ্ড ঘটিয়ে আমাদের নামে অভিযোগ করছে। আসলে নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ না হয় সেই চেষ্টাই চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ব্যানার্জিঘাটের কাছে জ্যোতি বসুর একটা ৬ ফুট উচ্চতার মূর্তি তৈরি হয়। তার আগেই সেখানে বসানো হয়েছিল পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, জ্যোতিবাবুর মূর্তি ভাঙা এবং মূর্তির মুখে আলকাতরা মাখানো। পুলকবাবুর মূর্তিরও একই অবস্থা। সেই সঙ্গে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে শঙ্কর স্মৃতি অবৈতনিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরে। আগুনে ঘরের টেবিল চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ দিকে, এ দিন নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে বালিটিকুরির সুরকি মিল, দাসনগর, সালকিয়া, ঘুসুড়ি ইত্যাদি এলাকায় ব্যানার, পোস্টার ছেঁড়া, প্রার্থীদের ভয় দেখানো, মারধরের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসের আশঙ্কা করে বামফ্রন্ট ও বিজেপির পক্ষ থেকে মহকুমাশাসক ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। |