|
|
|
|
রাজখোয়া-পত্নীর বই ঘিরে ক্ষোভ পরেশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজখোয়া-পত্নী কাবেরী কাছাড়ির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা কাহিনী’ প্রচারের অভিযোগ আনল পরেশপন্থী আলফা।
১৯৮০ সালে কাবেরীদেবী গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ মাঝপথে ছেড়ে আলফায় যোগ দেন। আলফা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়ার সঙ্গে তাঁর প্রণয় ছিল। পরে তাঁদের বিবাহ হয়। তারপর থেকেই তিনি আলফার মহিলা বাহিনীর প্রধান পদে ছিলেন।
অরবিন্দ, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ, সহ-সেনাপ্রধান রাজু বরুয়া, অর্থ সচিব চিত্রবন হাজরিকা, বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরী, সংস্কৃতি সচিব প্রণতি ডেকাদের সঙ্গে কাবেরীও ২০০৯ সালে আত্মসমর্পণ করেন। সম্প্রতি গুয়াহাটি গ্রন্থমেলায় কবি ও সাহিত্যিক কাবেরীর লেখা একটি গ্রন্থ ‘ইচ্ছা-অনিচ্ছা সত্ত্বেও’ প্রকাশিত হয়। সেখানেই তিনি সংগঠনের বিভিন্ন অন্তর্দ্বন্দ্ব ও পরেশ বরুয়ার স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে লিখেছেন। তাঁর লেখা অনুযায়ী, আলফায় মহিলা বাহিনীর কাজ ছিল অন্যদের জন্য রান্না করা, চা দেওয়া। তিনি যে আদর্শ থেকে আলফায় যোগ দিয়েছিলেন, সংগঠনে ঢুকে তাঁর মোহভঙ্গ হয়। তিনি লিখেছেন রাজখোয়া, শশধর, রাজুদের উপরে সর্বক্ষণ পরেশের নির্দেশে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি চলত। কাবেরীর অভিযোগ, ‘অপারেশন অল ক্লিয়ার’-এর সময় ভুটান সেনার দিকে গুলি চালাতে নিষেধ করেছিলেন বরুয়া। এমন আরও বিস্তর বিবাদ-বিসম্বাদের কথা বইতে খোলাখুলি লিখেছেন রাজখোয়া-পত্নী।
বইটি প্রকাশের পরেই পরেশ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বিভিন্ন শুভানুধ্যায়ীকে ফোন করে বইটির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। এরপর টিভিতে একটি সাক্ষাৎকারে, পরেশ ও পরেশপন্থীদের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন কাবেরী।
এর জবাবে আজ পরেশপন্থী আলফার তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কাবেরী ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যে ভাবে আত্মপ্রচারের জন্য নিকৃষ্ট পন্থা নিয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এক দিকে, হতাশাগ্রস্ত অন্য দিকে ভুঁইফোঁড় ধনী হয়ে ওঠা কাবেরীর অভিযোগ হাস্যকর ও ভিত্তিহীন। তিনি যা বলছেন ও লিখছেন সাহস থাকলে তার প্রমাণ দিন। |
|
|
|
|
|