|
|
|
|
সিপিএমের অভিযোগ খারিজ করল কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে শাসক দল এবং বিরোধী দলের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় চাপান-উতোরের রাজনীতি শুরু হয়েছে। কমিশনের কাছে রাজ্য কংগ্রেসের বক্তব্য নিয়ে সিপিএম যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে তাকে একেবারে ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানাল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি যাতে রাজ্যবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়।’’
উল্লেখ্য, কমিশনের রাজ্য সফরের পরই সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ‘‘অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে রাজ্য কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ২০১০-১১ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরার প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ-বিরোধী কাজ করেছে।’’ সিপিএমের এই ব্যাখ্যার তীব্র প্রতিবাদ করে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ আজ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘‘হিসাবনিকাশ করার জন্য ভিত্তিবর্ষ কী ধরা হবে এ বিষয়ে কোনও প্রস্তাবই আমরা কমিশনকে দিইনি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তাঁরা যাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরদের সমতুল্য সুযোগ-সুবিধা পান, সে কথাই কমিশনের প্রতিনিধিদের আমরা বলেছি।’’ কংগ্রেসের প্রস্তাব অনুযায়ী, “আমরা বলেছি, ‘ভিত্তিবর্ষ’ কী ধরা হবে সেটা অর্থ কমিশনই ঠিক করুক।’’ কমিশনের কাছে কংগ্রেসের প্রস্তাব ব্যাখ্যা করে সুদীপবাবু বলেন, ‘‘যে অর্থবর্ষ ধরলে রাজ্যের কর্মচারী, পেনশন প্রাপকদের সুবিধা হবে, কেন্দ্রীয় হারে বেতন, ভাতা ইত্যাদি পাবেন, রাজ্যের সামগ্রিক সুবিধা
তথা উন্নয়ন হবে, চতুর্দশ অর্থ কমিশন সে দিকেই গুরুত্ব দিক। সেটাই আমাদের প্রস্তাব’’
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্য কংগ্রেসের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী এবং রাজ্যবাসীর কাছে শাসক দল সিপিএম ‘ভুল বার্তা’ দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক বঞ্চনার পাশাপাশি, সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য দফতরের ওষুধ কেলেঙ্কারি-সহ সব ক্ষেত্রে সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকতে কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপানোর এটা একটা অপচেষ্টা মাত্র।’’ ত্রিপুরায় ওষুধ কেলেঙ্কারির সত্য উদ্ঘাটনে প্রদেশ কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থের মামলা করবে বলেও সুদীপবাবু জানিয়ে দেন। |
|
|
|
|
|