|
|
|
|
ভাইপোর গায়ে আগুন, ধৃত দুই কাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
চিত্কার করতে করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছিলেন এক যুবক। সারা শরীরে আগুন। বাইরে এসেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। পড়শিরা জল ঢেলে আগুন নেভালেন। তাঁকে আর জি করে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা জানান, ওই যুবকের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বিমানবন্দর সংলগ্ন মতিলাল কলোনিতে। ওই যুবকের নাম অভিজিত্ চক্রবর্তী। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর দুই কাকা অভয় ও অজয় চক্রবর্তী গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ জেনেছে, ওই যুবক ও তাঁর কাকারা যে বাড়িতে থাকেন, তার বাঁটোয়ারা নিয়ে অশান্তি চলছিল। দুই কাকা ওখানে প্রোমোটিং নিয়ে চাপ দিতেন অভিজিত্কে। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “অভয় ও অজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাড়ির জায়গা নিয়েই সমস্যা চলছিল বলে জানা গিয়েছে।”
পুলিশ জানায়, বাবা মারা যাওয়ার পরে ওই বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকেন সল্টলেকের এক কম্পিউটার সংস্থার কর্মী অভিজিত্। বাড়ির অন্য অংশে স্ত্রী-র সঙ্গে থাকেন অভয়। অন্য ঘরে থাকেন অজয়। এ দিন অবশ্য অভয় বা অজয়ের পরিবারের কেউ ছিলেন না। অভিজিতের মা তপতীদেবী বলেন, “বাড়ির পুরো জায়গাটা নিয়ে প্রোমোটিংয়ের জন্য মাঝেমধ্যেই চাপ দিত অভিজিতের দুই কাকা। বলেছিলাম, তোমাদের অংশে যা খুশি করো। আমার স্বামী বাড়িটা করেছে, আমি ভাঙব না। তার পরেই ওরা মাঝেমধ্যে হুমকি দিত। আমাদের এতটাই কোণঠাসা করে দিচ্ছিল যে সোজাসুজি ঘর থেকে বেরোতে পারতাম না। পিছনের দরজা দিয়ে বেরোতে হত।” এই গোলমালের কথা জানতেন প্রতিবেশীরা অনেকেই।
প্রত্যক্ষদর্শী জ্যোত্স্না বিশ্বাস বলেন, “সকালে অভিজিতের চিত্কার শুনে বেরিয়ে দেখি, ওর গায়ে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। ‘কাকারা আগুন লাগিয়ে দিল’ বলে চিত্কার করছে।” এলাকাবাসীরাই অভিজিতের ঘরে ঢুকে অভয় ও অজয়কে হাতেনাতে ধরে মারধর শুরু করেন। পুলিশ এসে তাদের এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যায়। ব্যারাকপুর কোর্টে তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
|
|
|
|
|
|