টুকরো খবর |
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে সক্রিয় ইন্টারপোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পার্ক স্ট্রিটের গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত কাদের খানের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি করেছে ইন্টারপোল। পলাতক অন্য অভিযুক্ত মহম্মদ আলির বিরুদ্ধেও একই নোটিস জারি হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্ক স্ট্রিটে এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণের ঘটনায় কাদের এবং তার চার সঙ্গী অভিযুক্ত। তিন জন ধরা পড়েছে। ঘটনার পরেই কাদের বাংলাদেশ ও নেপাল পালায়। গোয়েন্দারা জানান, মাস তিনেক আগে কাদেরের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ইন্টারপোলকে রেড কর্নার নোটিস জারির অনুরোধ করা হয়েছিল।
|
জজের সই জাল, ধৃত আইনজীবী |
কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলের সই জাল ও কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক আইনজীবী। ধৃতের নাম বিকাশ সিংহ। মঙ্গলবার, তাঁকে গিরিশ পার্ক এলাকা থেকে ধরা হয়। এই জালিয়াতি চক্রের আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানায়, পার্থপ্রতিম সাহা নামে এক ব্যবসায়ী ১৩ নভেম্বর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, ‘অ্যাড ইভেন্ট’-এর কাজে দু’টি সংস্থার কাছে তাঁর প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা বকেয়া হয়েছিল। সংস্থা দু’টি ছ’মাস ধরে টাকা দেয়নি। মামলা করে টাকা আদায় করতেই তিনি বিকাশের দ্বারস্থ হন। পার্থবাবুর অভিযোগ, বিকাশ তাঁকে বলেন হাইকোর্টে মামলা করে তিনি টাকা আদায় করে দেবেন। পুলিশ জানায়, বকেয়া আদায়ের মামলা করতে বিকাশ পার্থবাবুর থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা নেন। কিছুদিন পরে তিনি পার্থবাবুকে জানান, আদালতের এক বিচারপতি তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়বে। কয়েক মাস পেরোলেও টাকা জমা না পড়ায় পার্থবাবু ফের বিকাশের কাছে গিয়ে আদালতের রায়ের প্রতিলিপিও নেন। পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে পার্থবাবু প্রতিলিপি নিয়ে হাইকোর্টে যোগাযোগ করলে তাঁকে বলা হয় বিচারপতির সই ও স্ট্যাম্প জাল। তিনি হাইকোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেলের দ্বারস্থ হন। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেল ও পার্থবাবু দু’জনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
|
ভিড়ে ঠাসা মেট্রো স্টেশনে হার ছিনতাই |
|
‘সুরক্ষিত’ মেট্রোর প্ল্যাটফর্ম থেকে এক মহিলার হার ছিনতাই হল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে সিসিটিভির নজরবন্দি মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মে। পুলিশ জানায়, দমদমগামী ট্রেন ধরতে দাড়িয়েছিলেন নাকতলার বাসিন্দা কণিকা দাশগুপ্ত নামে ওই মহিলা। পুলিশকে তিনি জানান, ১২টা ৪৫ নাগাদ ট্রেনে ওঠার সময়ে পিছন থেকে তাঁর হার ধরে টান মারে এক দুষ্কৃতী। এর পরেই সে ভিড়ে মিশে যায়। ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের ঘটনাটি জানান কণিকাদেবী। রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। জনবহুল মেট্রো স্টেশনে কী ভাবে এমন ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলেরই একাংশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট ভিড় ছিল ও কণিকাদেবী একা ছিলেন। পুলিশের অনুমান, ওই দুষ্কৃতী তাঁর উপর নজর রেখেছিল। পরে সুযোগ মতো ছিনতাই করে পালায়।মেট্রো সূত্রে খবর, স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কণিকাদেবী ট্রেনে উঠতে যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের ভিড় থেকে এক যুবক দৌড়ে গিয়ে তাঁর হারটি ছিনিয়ে নিচ্ছে। ওই ফুটেজ থেকে ছবি তুলে আশপাশের সব থানায় পাঠানো হয়েছে।কলকাতার রাস্তায় মহিলাদের হার ছিনতাই নতুন নয়। কিন্তু মেট্রো স্টেশনে ট্রেনে ওঠার মুখে এমন ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন। স্টেশনগুলিতে পাহারা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো।
|
ময়দান থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত |
ফোর্ট উইলিয়ামের উল্টো দিকে ময়দান থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত। বুধবার প্রাতর্ভ্রমণ করতে এসে ঘাস-পাতা চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন এক যুবক। তখনই একটি ওয়্যারলেস ভ্যানে রাতের ডিউটি সেরে ফিরছিলেন দুই পুলিশকর্মী। তাঁরাই শিশুটিকে উদ্ধার করে এসএসকেএম-এ নিয়ে যান। সঙ্কটজনক অবস্থায় শিশুপুত্রটি আপাতত সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, প্রাতর্ভ্রমণ করতে এসে শিশুর কান্না শোনেন যুগল ঝাওয়ার নামে ওই যুবক। এক জায়গায় জড়ো করা ঘাসের নীচে কিছু নড়তে দেখেন তিনি। সব সরিয়ে দেখেন, ঠান্ডায় কুঁকড়ে রয়েছে এক সদ্যোজাত। পরনে সুতির জামা। তার হাত-পা নীল হয়ে গিয়েছে, রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে গায়ে। দুই পুলিশকর্মী অয়ন চক্রবর্তী ও আদর্শ সাউয়ের সঙ্গে তিনি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এসএনসিইউ-এর চিকিত্সকেরা জানান, সম্ভবত মঙ্গলবার রাতে শিশুটির জন্ম হয়। তার দেহের কিছু জায়গায় পোকার কামড়ের ক্ষত রয়েছে। তার শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। শিশুটির অবস্থা সঙ্কটজনক।
|
গলায় চাউমিন আটকেই মৃত্যু |
চাউমিন শ্বাসনালীতে আটকেই মৃত্যু হয়েছে গুড্ডু সাউয়ের। ময়না-তদন্তের পরে এ বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ। সোমবার পাঁচ নম্বর সেক্টরে ফুটপাথের একটি দোকান থেকে চাউমিন খেতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার পটারি রোডের বাসিন্দা গুড্ডু সাউয়ের। পাশাপাশি, ময়না-তদন্তে তাঁর ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছে। যদিও এর সঙ্গে মৃত্যুর যোগাযোগ আছে কি না, স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। তবে গুড্ডুর পরিজনেরা রোগের কথা জানতেন না। গতকাল তাঁরা বলেছিলেন, উল্লেখযোগ্য কোনও রোগ ছিল না গুড্ডুর। তবে সূত্রের খবর, তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন মাঝেমধ্যে মাইগ্রেনের ব্যথা হত গুড্ডুর।
|
পুরনো খবর: চাউমিন খাওয়ার সময়ে যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
|
শ্লীলতাহানি, ধৃত |
আট বছরের এক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করার দায়ে বুধবার এক রিকশাচালককে গ্রেফতার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম, মঙ্গল দলুই। পুলিশ জানায়, পাঁচ-ছয় দিন আগে একটি বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায় একটি শপিং মলের কাছে ঘটনাটি ঘটে। বুধবার ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও নাবালিকার মা জানান, পুলিশকে না জানানোর জন্য তখন নানা চাপ ছিল। তাই তাঁরা সময়ে পুলিশকে এ বিষয়ে জানাতে পারেননি।
|
ইন্দিরা সম্মান |
‘অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ইউনিটি কনফারেন্স’-এর পক্ষ থেকে এ বছরের ‘ইন্দিরা গাঁধী প্রিয়দর্শিনী’ পুরস্কার তুলে দেওয়া হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা ও প্রাক্তন প্রধান রচনা চক্রবর্তী এবং ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স’-এর অধ্যাপিকা রূপা মুখোপাধ্যায়ের হাতে। বাংলায় ঔপনিবেশিক আমলে শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণার জন্য এই সম্মান দেওয়া হল রচনাদেবীকে। নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন নিয়েও তাঁর কাজ রয়েছে। রূপা মুখোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য অবদান গঠনমূলক জীববিদ্যায়, মূলত বায়ো-ন্যানোটেকনোলজি, বায়ো-সেন্সরস এবং বায়ো-ইলেকট্রনিক্সে।
|
দগ্ধ যুবকের মৃত্যু |
অগ্নিকাণ্ডে জখম কিশোর ভিকি সাঁতরার মৃত্যু হল। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার আরজিকরে তাঁর মৃত্যু হয়। সাত দিন আগে ভিকিকে ওই হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার মুচিবাজারের বাসিন্দা ভিকি সাঁতরার বাড়িতে আগুন লেগেছিল। পুড়ে মারা যান তাঁর বাবা তারকবাবু। বাবা ও দিদিকে রক্ষা করতে গিয়ে পুড়ে গিয়েছিল ভিকি।
|
মহিলা কনস্টেবল ছুটিতে |
ছুটি চাইতে গিয়েই ঊর্ধ্বতন কর্তার কাছে তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার নিউ টাউন থানার সেই মহিলা কনস্টেবলের ছ’মাস ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। এ দিনই তিনি বিধাননগর কমিশনারেটে গিয়ে আইসি অশেষবিক্রম দস্তিদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই আইসি তাঁর উপরে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন এবং ছুটি চাওয়ায় কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। ডিসি (সদর) তাঁকে বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দেন এবং লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেন। আইসি অশেষবাবু অবশ্য ওই মহিলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
|
পুরনো খবর: আইসি-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ |
|