জেলা কৃষি দফতর বোরো মরসুমে সঙ্কর প্রজাতির ধান চাষে উদ্যোগী হয়েছে। কেন না, গত প্রথম সাঁইথিয়া ও নানুর ব্লকে এই চাষের ফলন ভাল হয়েছে বলে দাবি কৃষি দফতরের। তাই এ বার আরও দু’টি ব্লকে (ময়ূরেশ্বর ১ ও ২) ওই চাষ করার জন্য প্রস্তিতি নিচ্ছে জেলা কৃষি দফতর। ৪টি ব্লকে অন্তত তিন হাজার বিঘে জমিতে ওই ধানের চাষ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্য আধিকারিক অমর মণ্ডল জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, বোরোর অন্য ধান চাষে যেখানে বিঘে প্রতি ৭-৮ কুইন্টাল ধান উত্পাদন হয়, সেখানে সঙ্কর জাতের ধান বিঘে প্রতি উত্পাদন হবে ১৫ কুইন্টাল। তবে এই চাষে রাসায়নিক সার বেশি প্রয়োজন এবং একটি করে চারা রোপন করতে হয়। অন্য বোরো ধান চারা রোপন করতে হয় এক গুচ্ছ করে। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই চারা রোপন করা হবে। বৈশাখের শেষের দিকে পাওয়া যাবে ফসল।
অমরবাবু বলেন, “বীজ থেকে চারা উত্পাদন না করে যন্ত্রের সাহায্যে সর্বত্রই সরাসরি ধান ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন বাজারে ৪ হাজার টাকা খরচ করে ওই বীজ ছাড়ানোর যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে।” সাঁইথিয়ার পলসা গ্রামের চাষি মহম্মদ অজিজ এবং নানুরের খুজুটিপাড়া গ্রামের শেখ দিলদারদের বক্তব্য, “সঙ্কর প্রজাতির ধান চাষ করে আমরা লাভবান হয়েছি।” অন্য দিকে, বৃষ্টি নির্ভর চাষ এলাকা খয়রাশোল, মহম্মদবাজার, দুবরাজপুর এবং রাজনগরে তৈলবীজ জাতীয় কুসুম বীজের চাষ এবার থেকে নতুন করে শুরু হচ্ছে। এই চারটি ব্লকে ১০০ জন চাষিকে চার কেজি করে ওই বীজ দেওয়া হবে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
মদের খালি বোতল মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা স্কুলের ভিতরে ছুড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা স্কুলের গেটের তালাও খুলতে দেননি। ঘটনাটি সাঁইথিয়ার তিলপাড়া প্রাথমিক স্কুলের। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল চত্বর এলাকায় কয়েক জন মদ বিক্রি করে। স্কুলের পিছনে একটি মুদি দোকান থেকেও মদ বিক্রি করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই বহিরাগতরা এখানে ভিড় করে। প্রায় রাতেই স্কুলের মাঠে মদের আসর বসে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে অনেকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ জানায়, এ দিনের ঘটনা লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। তবে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিতকুমার মণ্ডল বলেন, “এ দিনের ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” এই স্কুলে মোট ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী আছে। এ দিনের বিক্ষোভের জেরে অনেকে বাড়ি ফিরে যায়। |