খামের উপর লেখা ঝর্না মণ্ডল, দুবরাজপুর-বীরভূম। অন্য খামে একই ঠিকানা লেখা। শুধু প্রাপকের নাম বদলে লেখা ধনঞ্জয় বাউড়ি। আবার অন্য খামে প্রাপক বিপদ বাউড়ি। পরে ঠিকানা লেখা দুবরাজপুর, আদমপুর-পণ্ডিতপুর। খামগুলির মধ্যে রয়েছে প্রাপকদের জন্য আধারকার্ড। প্রাপকদের ঠিকানা লেখা গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ড বিলি করার জন্য জেলার অন্য পোস্টঅফিসের মতো দুবরাজপুর পোস্টঅফিসে এসে পৌঁছেছে। |
দুবরাজপুরে বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু ঠিকানার বহর দেখে সেই কার্ড কী ভাবে প্রাপকদের হতে তুলে দেবেন, এই কথা চিন্তা করেই মাথার চুল খাড়া হয়েছে পোস্টম্যানদের। কেন? পোস্টম্যনরা বলছেন, “ওয়ার্ড নম্বর, পাড়া বা পরিবারের প্রধানের নাম উল্লেখ না থাকলে দুবরাজপুর শহরের প্রায় ৪০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে থেকে একটি নাম খুঁজে বের করব কী ভাবে! অথবা যেখানে প্রাপকের ঠিকানার জায়গায় একাধিক জায়গার নাম রয়েছে। আসলে তিনি ঠিক কোন গ্রামের বা এলাকার বাসিন্দা সেটাই বা ঠিক করা যাবে না।” শুধু দুবরাজপুর পুরসভার জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৭০০ জন। প্রত্যেকের নামে আধার কার্ড আসবে। গত ৪-৫ দিন থেকে মোট তিন হাজার কার্ড এলেও ঠিকানা বিভ্রাট বা প্রাপকের আসল পরিচয় নিয়ে সংশয় থাকায় মাত্র ২০ শতাংশ কার্ড বিলি হয়েছে বলে পোস্টঅফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা ডাক বিভাগের ডিভিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট জয়ন্ত চৌধুরী বলছেন, “সমস্যা গোটা জেলার ক্ষেত্রেই এক। উপযুক্ত ঠিকানা লেখা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে কার্ড বিলি করতে। আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করছি।” দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেও বলছেন, “ঠিকানা ঠিক মতো লেখা না থাকাটা সমস্যা নিশ্চই।” এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণা মাড্ডি বলেন, “সমস্যাটি জানি। কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে।” |