নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর গল্প-কবিতা ‘নারীনক্ষত্র’তে দু’মলাট বন্দি করেছেন সুস্মিতা সোম। ১২টি গল্প ও ৪০টি কবিতা নিয়ে সংকলন। ভূমিকায় লেখিকা লিখেছেন, “কোনও নারীবাদ নয়। প্রতিদিনকার অভিজ্ঞতাই আমার সম্বল।” সেই অভিজ্ঞতা মূলত নারীজীবনের নানা টানাপোড়েনের সাতসতেরো। লেখিকা নারীবাদী নন, তাই ‘কারণে বা বিনা কারণেই’ তাঁর রবীন্দ্রপ্রেম। ভালবাসা থেকে ‘রবীন্দ্র ভুবনে-পরম-প্রেম-প্রকৃতি, নানা রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রেক্ষাপট, রবীন্দ্রনাথের ধর্ম চিন্তা, নারী সম্পর্কিত ধারণা, মৃত্যু চেতনাএমন সব বিষয় সাজিয়ে সুস্মিতার এই বই। বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকা হলেও তিনি নিজের গণ্ডি ভাঙতে ভালবাসেন। ‘মালদা জেলার ইতিহাস চর্চা’ গণ্ডি ভাঙার ইতিহাস। মালদহের ভাষা-বৈচিত্র, পালা-পার্বণ, নানা জাতি-জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিষয়ে ৯টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে সংকলনে। এ ইতিহাস তথ্য ভারাক্রান্ত নয়, পাঠককে গল্প শোনায়। এটা সুস্মিতার মুন্সিয়ানা। আলোচ্য তিনটি বইয়ের প্রচ্ছদ সুন্দর। দু’চারটি মুদ্রণত্রুটি যে নেই, তা নয়। বহতানদীর মতো ভাষাস্রোত পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত নিয়ে যায়। মুদ্রণত্রুটি অন্তরায় হয় না। |
শহর জলপাইগুড়ির রূপান্তরকামী পুরুষদের একটি সংগঠন ‘রিনা—এ স্টাডি গ্রুপ ফর ডান্স’-এর উদ্যোগে বসেছিল এক আলোচনাসভা। বিষয়: ‘মেয়েলি বৈষম্য’। বক্তারা চিকিৎসক আশীষ সরকার, সোমদত্তা ভট্টাচার্য, সুমিত দত্ত, কাকলি মুখোপাধ্যায়, জয়দীপ সাহা ও সোমা ঘোষ। নারী-পুরুষে যৌনতার বৃত্তের বাইরে যাঁরা আছেন, তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জানা ও জানানো। নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে বিশ্বাস অর্জন, স্বাভাবিক চেতনাবিস্তার, পরিবার সমাজে গ্রহণযোগ্যতার প্রসার ঘটানো। সর্বোপরি হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা— এ সবই উঠে এসেছে আলোচনাতে। শেষে পরিবেশিত হয় যুগল নৃত্য—গণেশ-বন্দনা।
|
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে যোগোদ্যান, রামকৃষ্ণ মঠ, কাঁকুড়গাছির উদ্যোগে ‘শাশ্বত ভারত রথ’ বিভিন্ন জেলা ঘুরে প্রবেশ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ছাত্রছাত্রীরা সমবেত সঙ্গীতে স্বাগত জানায় ‘শাশ্বত ভারত রথ’কে। স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন কলা, বাণিজ্য ও আইন বিভাগের ডিন পলাশরঞ্জন সেনগুপ্ত, বিজ্ঞান বিভাগ ডিন অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের লক্ষ্যে ছিল কর্মশালাও। সেখানে প্রশিক্ষক ছিলেন স্বামী শিবপ্রেমানন্দ। |