মন্দিরা নতুন এডিশন

অনেক দিন পর মন্দিরা বেদি আবার খবরে...
হ্যাঁ, থ্যাঙ্কফুলি। অনেক বছর পর এটাই আমার সব থেকে ব্যস্ত বছর গেল। শাড়ির স্টোর চালু করলাম। আবার টিভিতে অভিনয়ের কাজ নিলাম। আমার ছেলে তো সবে দু’য়ে পড়ল। কাজ আর ফ্যামিলি ব্যালেন্স করে চলছি। তবে আবার ভাববেন না যে, সেটা নিয়ে অভিযোগ করছি।

‘টোয়েন্টি ফোর’য়ে আপনার অভিনীত নিকিতা রাই নিয়ে তো সারা ভারত উৎসাহে ফেটে পড়ছে।
সেটা আমিও টের পাচ্ছি। মূল সিরিয়ালে এই চরিত্রটা নিনা মেয়ার্স করেছিলেন।

তা অনিল কপূর ফোন করেছিলেন?
না, পরিচালক অভিনব দেও কল করেছিল। আমি অডিশনেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই ওরা আমাকে বেছে নেয়। আসলে এই ছোট ছোট চুলের মন্দিরা বেদিকে কী রোল দেবে সেটা ভারতীয় টেলিভিশন ভাবতেই পারছিল না...

তাই কি অভিনয়ের সংখ্যা কমে গেল?
হ্যাঁ, চলতি সিরিয়ালের তথাকথিত ‘সাস’য়ের চরিত্রে আমাকে মানাত না। আবার বৌয়ের ভূমিকাতেও আমি অভিনয় করতে পারব না। সৌভাগ্যক্রমে ‘টোয়েন্টি ফোর’য়ের চরিত্রটা আমার সঙ্গে মিলে গেল। কিন্তু ভারতীয় টিভির লোকেরা এতটাই কল্পনাশক্তিহীন যে, এর বেশি আর ভাবতেই পারল না। এখন আমাকে খালি পুলিশের চরিত্রের জন্য ডেকে যাচ্ছে। লোক যে কত নির্বোধ হতে পারে!
আপনার কথা শুনে কিন্তু মনে হচ্ছে, টিভির লোকেদের ওপর আপনি বেশ রেগে আছেন।
না, রেগে নেই। আমি বেশ অবাক। কিন্তু কী আর করব, ভারতীয় টিভি-ই তো আমার জীবন। আমি ‘শান্তি’ করেছি। ওটাই আমাকে জনপ্রিয় করছে। তার পরে ক্রিকেটেও তো সুযোগ করে দিল সেই টিভি। ক্রিকেট হোস্টিং করা সারাজীবন মনে রাখার মতো ঘটনা।

সেই ক্রিকেট হোস্টিংয়ের কী হল। ক্রিকেট হোস্টিংয়ের ম্যাপে তো আর আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমি ক্রিকেট হোস্টিংয়ে নেই, কারণ আমি থাকতে চাইনি। গত ন’বছরে আমি কোথাও অভিনয় করিনি। শুধু ক্রিকেট হোস্টিংই করেছি। কিন্তু ছেলে হওয়ার পর সেটাও বন্ধ করে দিলাম।

আপনার নিন্দুকরা কিন্তু এ গল্প মানবেন না...
আমাকে দেখে কি মনে হয়, তাতে আমার কিছু যায়-আসে!

কিন্তু জানেন তো তারা কী বলে?
বলুন, শুনি...

তাদের মতে, অচর্না বিজয়া এসে আপনাকে ছুটি করে দিয়েছেন!
এটা বেশ অদ্ভুত জানেন, আপনি এমন সময়ে প্রশ্নটা করলেন যার কিছু দিন আগে একটা বড় চ্যানেল তাদের ক্রিকেট শোয়ের হোস্ট হওয়ার জন্য আমাকে ডেকেছে। আর আমি সেটায় যোগ দেব কি না সেটাও সিরিয়াসলি ভাবছি। ব্যস, আমার উত্তর এটাই।

আপনি তো ক্রিকেট হোস্টিংয়ের পথিকৃৎ। তা নিয়ে অর্চনার সঙ্গে কথা হয়নি?
আপনি আপনার সহকর্মীর সঙ্গে নোটস দেওয়া-নেওয়া করতে পারেন, কিন্তু অচর্নার সঙ্গে আমার তেমন সম্পর্ক নেই। তবে কিছু দিন আগেই আমরা একসঙ্গে শো করেছি। আর আমরা কিন্তু ব্যাপারটা ভালই করেছি।

‘টোয়েন্টি ফোর’ সিরিয়ালে নিকিতা রাই-য়ের চরিত্রে।
অর্চনা কোনও দিন কোনও টিপস নিয়েছেন আপনার থেকে?
কেন বারবার ওর নাম উঠছে বুঝতে পারছি না! এই প্রশ্নগুলো তো আপনার ওকে করা উচিত।

ওকে। অনেকে বলেন সোনি ২০০৩-য়ে আপনার জন্য যা করেছিল, ২০১৩তে অনিল কপূর সেটাই করলেন...
হা হা হা। কথার মারপ্যাঁচে ভালই বললেন। (হাসি) তবে বুঝতে পেরেছি, কথাটা কেন বললেন। অনিলের সঙ্গে কাজ করা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। যে এনার্জি, যে অফুরন্ত জীবনীশক্তি ও সেটে বয়ে আনে, এক কথায় তা অবিশ্বাস্য। আই রিয়েলি ফিল প্রিভিলেজড টু ওয়ার্ক উইথ হিম।

‘টোয়েন্টি ফোর’য়ের আর কত দিনের শ্যুট বাকি?
আর একদিন শু্যট হলেই হয়ে যাবে। আর তার পর একটা ছুটি নেব। তখন বসে বাকি জীবনের প্ল্যান কষব।

আপনার তো আর এক পরিচয় বাড়ল ‘ডিজাইনার মন্দিরা বেদি’। করণ জোহর আপনার স্টোরের উদ্বোধন করলেন না?
হ্যাঁ। ইট ওয়াজ ভেরি নাইস অব হিম।

কিন্তু হঠাৎ স্টোর কেন?
দেখুন, ওটাও কিন্তু ক্রিকেট হোস্টিংয়ের জন্যই। ভেবে দেখুন, আমি যখন ক্রিকেট হোস্টিং শুরু করি, তখন শাড়ি আর মন্দিরা বেদি ছিল সমার্থক। তাই কিছু দিন পরে আমার মনে হল, নিজের একটা ক্লোদিং লাইন হলে কেমন হয়? ব্যস, শুরু করে দিলাম।

আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে নোটস দেওয়া-নেওয়া করতে পারেন,
কিন্তু অচর্নার সঙ্গে আমার তেমন সম্পর্ক নেই ... কেন বারবার অর্চনার নাম
উঠছে বুঝতে পারছি না? এই প্রশ্নগুলো আপনার ওকে করা উচিত।
স্টোরের জন্য সময় দিতে পারেন?
যখনই কোনও শু্যট থাকে না, স্টোরে চলে আসি। হয়তো সকাল সকাল চলে এলাম। এসে টেলরদের সঙ্গে বসলাম। কারিগরদের নিয়ে ডিজাইন করলাম।

কলকাতায় কিন্তু আপনি ভীষণ জনপ্রিয়। তা কলকাতায় স্টোর খোলার কোনও প্ল্যান নেই?
কয়েকটা অফার আছে। অনেকে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যও বলছেন। কিন্তু এখনও কিছু ঠিক করিনি। কলকাতায় স্টোর খুলতে পারলে তো আমার নিজেরই ভাল লাগবে।

আপনার এক বিখ্যাত প্রতিবেশী তো রিটায়ার করলেন।
হুঁ, জানি। আমি কিন্তু কার্টার রোডে কোনও দিন ওঁর মুখোমুখি পড়িনি। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক, সচিন জগিংয়ে বেরোলে, তিন মিনিটের মধ্যে ট্র্যাফিক জ্যাম লেগে যাবে।

রিটায়ারমেন্টের পর সচিনের সঙ্গে কথা হয়েছে?
আমি ওকে একটা এসএমএস পাঠিয়েছি। যে সব সুন্দর সুন্দর স্মৃতি ও আমাদের উপহার দিয়েছে সে সব জানিয়ে। আর ওর ওই ফেয়ারওয়েল স্পিচ। ওটা তো সারাজীবন আমার মনে থেকে যাবে।

রক্তের সাহস
ড্রেসের নাম যখন বিকিনি
মেয়ে

সোহা আলি খান
বছর ২০১৩
মা

শর্মিলা ঠাকুর
বছর ১৯৬৬



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.