পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ সরবেড়িয়ায়
ক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল ভগবানপুরের সরবেড়িয়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ রাতে গ্রামে ঢুকে বাসিন্দাদের অযথা হেনস্থা করছে। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ননীগোপাল বেরা নামে বছর বাইশের যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত ৭ নভেম্বর সরবেড়িয়া বাজারে জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও দু’টি গাড়িতে জনতা আগুনও লাগিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় ভগবানপুর থানার পুলিশ ৪৯ জনের নামে মামলা রুজু করে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরবেড়িয়ায় অনেকেই এখন ঘরছাড়া। এনিয়ে শুরু হয়েছে সিপিএম ও তৃণমূলের রাজনৈতিক তরজাও। ভগবানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্য সুব্রত মহাপাত্রের বক্তব্য, “ওই যুবকের মৃত্যু অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। তবে সেজন্য পুলিশের উপর আক্রমণ বা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।” তাঁর অভিযোগ, “ওই ঘটনায় সিপিএম নেতা-কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বাড়িতে তল্লাশির নামে পুলিশ ভাঙচুর চালাচ্ছে। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আমাদের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যাদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।” অন্য দিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা স্বপন রায় জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। গ্রামে সিপিএমের গুজবেই ভয় তৈরি হচ্ছে। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার ওই গ্রামে যায়।
ওই ঘটনায় এলাকার স্কুলগুলিতে উপস্থিতির হারও কমেছে। স্থানীয় ভবানীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ মহাপাত্র জানান, “আমাদের স্কুলে মোট ৯৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এখন খুব বেশি হলে ১৫-২০ জন আসছে। বেশির ভাগ লোকই ঘরছাড়া থাকায় ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসতে পারছে না।” এগরা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অপরাধীরা আত্মসমর্পণ করুক। তবে এলাকার প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা করে দেখব।”

যুবকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল চন্দ্রকোনা রোডের রাঙামাটি এলাকায়। মৃতের নাম, সেরাজুল ওরফে ইন্তেজুল খান (২০)। বাড়ি রাঙামাটি সংলগ্ন শুকনোতোড় গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক রাঙামাটির একটি পাওয়ার হাউসে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করতেন। গত রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ ডিউটি সেরে আর বাড়ি ফেরেননি ইন্তেজুল। এ দিন রাতেই ওই পাওয়ার হাউসের কিছুটা দূরে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মৃতের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার সকালে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভ সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। পাওয়ার হাউসের সমস্ত কর্মীকে জেরা করা হয়। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ইন্তেজুলকে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.