|
|
|
|
পরিবর্তনের বৃত্ত সম্পূর্ণ করুন, আহ্বান শুভেন্দুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিধানসভা ভোটের পরে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি তো বটেই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদও তাদের দখলে এসেছে। কিন্তু জঙ্গলমহলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ঝাড়গ্রাম পুরসভা এখনও তৃণমূলের অধরা। ‘পরিবর্তনের জয়যাত্রা’ সম্পূর্ণ করতে তাই আসন্ন পুরনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর ডাক দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
আগামী শুক্রবার ঝাড়গ্রামে পুর-নির্বাচন। তার প্রচারে এসেছিলেন শুভেন্দুবাবু। এ দিন ঝাড়গ্রাম শহরে দু’টি সভা ও পদযাত্রা করেন তিনি। সভা থেকে দীর্ঘদিনের বাম পরিচালিত পুরবোর্ডের সমালোচনা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “ঝাড়গ্রামের মতো অপরিচ্ছন্ন শহর কোথাও দেখিনি। ৩১ বছর ধরে বামেরা ক্ষমতায় থাকার পরেও এই পুর-এলাকায় বিদ্যুৎহীন পাড়া রয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “ঝাড়গ্রাম পুরসভা তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আপনাদের ঐকান্তিক আবেদন জানাই।”
কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা ঝাড়গ্রামে এসে প্রচার-পারদ চড়াচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে সভা করে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বেচারাম মান্নারা। তবু তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই। কারণ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও ‘নির্দল কাঁটা’।
আগামী শুক্রবার মেদিনীপুরেও পুর-নির্বাচন। সেই উপলক্ষে এ দিন মেদিনীপুর শহরেও তিনটি প্রচারসভা করেন শুভেন্দুবাবু। মির্জাবাজারের সভায় তিনি বলেন, “মেদিনীপুরে শান্তি ফিরেছে। সুশান্ত ঘোষ, অনুজ পাণ্ডেদের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেননি। শান্তি ফিরিয়েছেন।” এই শান্তিকে ‘চিরস্থায়ী’ করতে পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানান শুভেন্দু। কংগ্রেসের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, “কংগ্রেস হল ভোট কাটার পার্টি, ওঁদের ভোট দেবেন না।” |
|
|
|
|
|