|
|
|
|
উত্তরের চিঠি |
|
পশুপ্রেম পাঁঠাবলি বোল্লাকালী |
রাস-পূর্ণিমার ঠিক পরের শুক্রবার বালুরঘাটের ‘বোল্লা’ হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর তথা উত্তরবঙ্গ এমনকী ভিন রাজ্যের মানুষের অন্যতম এক গন্তব্য। এখানেই হয় সাড়ে সাত হাত উচ্চতার বোল্লাকালী মাতার পুজো। ৩০ নভেম্বর থেকে চার দিন চলা এই পুজোয় আসে উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত তথা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, বাংলাদেশের অসংখ্য ভক্ত। বর্ধমানের জমিদার হরিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় যে বোল্লাকালী পুজোর প্রচলন করেন, তার কলেবর ছিল ছোট। কিন্তু যখন ব্রিটিশ শাসকদের হাত থেকে মুক্ত হয় অপরাধীর সাজাপ্রাপ্ত গ্রামবাসী, তখন মানত মেনে তাঁরা বৃহৎ রূপ দেয় এই পুজোর। প্রতি বছর পুজোর ৪ দিন পরে পাশের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। তার চার দিন পরে সেখান থেকে কাঠামো তুলে শুরু হয় পরের বছরের প্রতিমা গড়ার কাজ।
সুবিদিত এই বোল্লা মেলা ফি বছর উৎসবের চেহারা নেয়। উৎসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে প্রশাসন। অসংখ্য পুলিশী, সিসি টিভিঅপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে রুখে দেওয়ার জন্য সদাজাগ্রত। বোল্লা মেলা হতেই পারে ধর্মীয় পর্যটনের এক নতুন সংগঠিত ঠিকানা। সদিচ্ছা ও উদ্যোগ চাই প্রশাসনের। চাই সঠিক পরিকল্পনা।
আর একটি প্রশ্ন ওঠে, উঠবে এবং উঠবেই। ৪৫০০ পাঁঠাবলি। সভ্য দেশে এই সময়েও। অসহায় প্রাণের কান্না, হাহাকার বাঁচার শেষ চেষ্টার ব্যর্থতা, সব কিছু নিমেষে শেষ হয়ে যাওয়ার নৈঃশব্দের মাঝে কেন বড় হয় ভক্তদের মানত? এত রক্ত কি দাগ কাটে না মনের ভিতর? খাদ্য-চক্রের জটিল শৃঙ্খল না হয় জোর করে চাপিয়ে দেয় প্রাণধারণে খাবার সংস্থানের তত্ত্ব, কিন্তু তা বলে অসংখ্য হত্যার পরে এমন গণ-নারকীয় উল্লাস? রবিঠাকুর সেই কবেই বিসর্জন নাটকে বলির বিরোধী পথের কথা বলেছিলেন। বোল্লাকালীর উদ্যোক্তারা এ বার ভাবুন বিকল্প পথ। বোল্লা মা তাতে খুশিই হবেন। মানতের ক্ষেত্রেও পাঁঠাবলির কথা না ভাবলেও বোল্লাকালী নিশ্চয়ই অপরাধ নেবেন না। ছাগ শিশুও শিশু। সেওপ্রাণ। |
তুহিনশুভ্র মণ্ডল, বালুরঘাট
|
সারমেয়প্রেমীরা স্থানীয় কুকুর পুষুন |
শহরের অভিজাতরা শৌখিনতার বশে নানা বিদেশি কুকুর পোষেন। কুকুরের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা আছে। ডগ সোপ, চিরুনি, ওষুধপত্র, রুটিনমাফিক মাংস, ডালভাত, রুটি ইত্যাদির এলাহি ব্যাপার। আবার বছরে কয়েক বার ডগ শো হয়। সারমেয়-মনিবদের অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু মনিবের নিরাপত্তা কতটা জানা যায় না। অথচ স্থানীয় কুকুরগুলি অবহেলার শিকার। তাদের মনিব নেই। ওই পথ কুকুরের দৌরাত্ম্যে নির্বীজকরণের ইঞ্জেকশনের কথা ভাবা হলেও বাস্তবায়িত হয়নি।
সারমেয়প্রেমীরা তাই ইচ্ছে করলে পথ-কুকুরের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই কমাতে পারেন। বহু মূল্য দিয়ে বিদেশি কুকুর না কিনে স্থানীয় কুকুরদেরই তো তাঁরা পুষতে পারেন। এদের পিছনে সে রকম কোনও অর্থ ব্যয় হয় না। এই স্থানীয় কুকুরেরা কিন্তু বিলিতি কুকুরের চেয়ে কম নয়। ‘পথকুকুর’ বলে আখ্যা দিলেও সুঠাম দেহ, প্রবল ঘ্রাণশক্তি ও দৌড়বাজ এবং বিদেশি কুকুরের চেয়ে এরা মনিবের নিরাপত্তাও অনেক বেশি দিতে পারে। এ ভাবে পথকুকুর কমবে এবং পথচারীরাও নিরাপত্তা পাবে। |
অশোক সূত্রধর। ফালাকাটা |
|
|
|
|
|