‘যন্ত্রণাহীন প্রসব’ পিজি-তে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসব সফল ভাবে সম্পন্ন হল এসএসকেএমে। শুক্রবার সকালে মহেশতলার বাসিন্দা জয়ত্রী মণ্ডল প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসবের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া ব্যবহারে সম্মতি জানান। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ সুদীপ সাহার নেতৃত্বে এক চিকিৎসক দল সফল ভাবে ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোনও সরকারি হাসপাতালে এমন প্রসব এই প্রথম হল। এসএসকেএমে যে কোনও প্রসূতি চিকিৎসকদের লিখিত সম্মতি দিলে যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতির সুবিধা পেতে পারেন। এই পরিষেবা মিলবে নিখরচায়। কী ভাবে প্রসব যন্ত্রণাহীন হতে পারে? সুদীপবাবু জানান, প্রসবের সময় কয়েক রকম হরমোন নির্গত হয়। যা মূলত জরায়ুর সংকোচন-প্রসারণ ঘটানোর জন্য দায়ী। একই সঙ্গে ওই হরমোনগুলি জরায়ুর কিছু স্নায়ুতন্তুর উপরেও কাজ করে। ওই তন্তুগুলি প্রসবকালীন যন্ত্রণার জন্য দায়ী। ব্যথাহীন প্রসবের জন্য স্পাইনাল কর্ডের উপরে নির্দিষ্ট অংশে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, যা ওই তন্তুগুলিকে সাময়িক ভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তবে এই সময় প্রসূতিকে প্রতি মুহূর্তে নজরদারিতে রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
|
অসুস্থ শতাধিক ছাত্রছাত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
রাতের খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ল শতাধিক ছাত্রছাত্রী। রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বিসরাইল মিশন আবাসিক স্কুলের ঘটনা। স্কুলের পড়ুয়া ১১০ জন। খাওয়ার পরে বমি-পায়খানা হতে থাকে। তাদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সালভে কুমার রফি বলেন, “সম্ভবত রাতের খাবারে টিকটিকি বা অন্য কোনও পোকামাকড় পড়েই খাবারে বিষক্রিয়া ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পড়ুয়াদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।” খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে যান স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মণ্ডল। তিনি জানান, কয়েক জনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
|
পোলিও প্রচারে সংখ্যালঘু মঞ্চ |
সরকারি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুদের আরও বেশি করে পোলিও টিকা খাওয়ানোর প্রচারে নামল বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পাশাপাশি ওই মঞ্চ নিজেদের প্রতিনিধির মাধ্যমে জেলাগুলিতে প্রচার ও সমীক্ষা চালাচ্ছে। মঞ্চের তরফে জানানো হয়, এখনও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে অনেক মা-ই সন্তানকে পোলিও টিকা খাওয়াতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের ভয় কাটাতে মঞ্চের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবির করছেন। মঞ্চের সভাপতি ওয়ায়েজুল হক জানান, যে-সব জেলায় শিশুদের ওই টিকা খাওয়ানোর হার কম, সেখানে আগে প্রচার চালানো হবে। ওই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি।
|
পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবির |
জনসংযোগ বাড়াতে শুক্রবার হুগলি জেলা পুলিশের উদ্যোগে গোঘাট থানার তরফে নিখরচায় স্বাস্থ্য শিবির হল গোঘাট-২ ব্লক অফিস চত্বরে। উদ্বোধন করেন সুপার সুনীল চৌধুরী। |