বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা ভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রকে আগামী নির্বাচনী লড়াইয়ে পাখির চোখ করছে বিজেপি। আর তাই ওই লোকসভা এলাকাকে নিয়েই রবিবার নতুন সাংগঠনিক জেলা ঘোষণা করল বিজেপি। বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভেঙে ‘উত্তর মুর্শিদাবাদ’ নামে ওই নয়া জেলার সঙ্গে জঙ্গিপুর মহকুমার সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা এলাকাকেও সংযুক্ত রাখা হয়েছে। নতুন এই জেলার দলীয় সভাপতি করা হয়েছে ষষ্টীচরণ ঘোষকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এদিন রঘুনাথগঞ্জে বলেন, “৫টি মহকুমা নিয়ে এই জেলা। ৩টি লোকসভা ও ২২টি বিধানসভা আসন রয়েছে এখানে। সদর শহর বহরমপুর থেকে এত বড় এই জেলার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই সরকারী স্তরেও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভাজন প্রয়োজন। বর্ধমান জেলাকেও বিভাজন জরুরি।” রাহুল বলেন, “২০১১ সালের উপনির্বাচনে জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে ৮৫ হাজার ভোট পেয়ে বিজেপি এ রাজ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে ওঠার প্রমাণ দিয়েছে। এই জঙ্গিপুর থেকেই এ রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিজেপি।’’ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই দলীয় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমুল। শিক্ষা ক্ষেত্রে চলছে চরম নৈরাজ্য। বাম সরকার ৩৪ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, আর বর্তমান রাজ্য সরকার দু’বছরেই ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ করেছে। সেই টাকায় উৎসব হচ্ছে।” কৃষ্ণনগর পুরসভাতেও খাতা খুলতে মরিয়া বিজেপি। রবিবারের বিকেলে কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে চিত্রাভিনেতা জর্জ বেকারকে সঙ্গে নিয়ে পথসভা করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার। |
মদনের হুমকি কৃষ্ণনগরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি পুরভোটের পর আন্দোলনের হুমকি দিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র। রবিবার তিনি কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর ও অনাদিনগরে পুরভোটের প্রচারে সভা করেন। ওই সভায় তিনি বলেন, “ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির জাতীয় সড়ক তৈরির সদিচ্ছা ও পরিকাঠামো কোনটাই নেই। আমরা স্টেট হাইওেয়ে অথরিটি গঠন করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমরা দাবি করেছি যে জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য বরাদ্দ টাকা আমাদের দিয়ে দিন। আমরা নিজেরাই তা তৈরি করে নেব। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্র তাতে বাধা দিচ্ছে।” |