আবর্জনায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
সঙ্কীর্ণ হয়ে যাচ্ছে কলেজ যাওয়ার রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র। |
আবর্জনা কলেজ যাওয়ার রাস্তা দখল করে চলেছে। পুরসভা ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। সমস্যাটি বোলপুর মহকুমা এলাকার একমাত্র মহিলা কলেজ (পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়) যাওয়ার রাস্তার। অবিলম্বে রাস্তা আবর্জনা মুক্ত করার দাবি তুলছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ব্যবস্থা না নিলে আমি ডিসেম্বরে এখানে অবস্থানে বসব।” মহকুমাশাসকের দফতর লাগোয়া এবং সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় থাকা এই কলেজে প্রায় ১২০০ ছাত্রী রয়েছে। বর্তমান প্রস্তাবিত বিঞ্জানভবনের সবেমাত্র শিলান্যাস হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজ যাওয়ার পথে এলাকার নোংরা, আবর্জনা ফেলা হয়। বারে বারে পুরসভা ও প্রশাসনকে সমস্যার কথা বলা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হইনি। একই অভিযোগ ওই কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল বরণমণ্ডলেরও। সোমনাথবাবুর দাবি, “শহরের জঞ্জাল সব এখানে এসে জমা করা হয়েছে। এই পথ ধরে মেয়েরা পড়াশোনা করতে যায়। সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিক।” জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “সোমনাথবাবুর আবেদন পেয়েছি। পুরসভা ও শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে জেলাপরিষদের তহবিল থেকে ওই আবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
|
গজলডোবায় ভিড় জমাচ্ছে পরিযায়ীর দল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
দূর দেশ থেকে ওরা আসতে শুরু করেছে। তিস্তার বুকে বা চরে খুঁজলেই দেখা মিলছে। ওরা মানে পরিযায়ীরা। হাজার হাজার মাইল উড়ে ফের একই জায়গায় ওরা কী ভাবে আসে তা আজও রহস্য। ডুয়ার্সের গজলডোবায় তিস্তা নদী পাহাড় থেকে নেমে চওড়া হয়েছে। শীতকালে নদী একটু স্তিমিত। বাতাস মৃদুমন্দ। পিছনে ক্যানভাসে জ্বলজ্বল করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনই পছন্দ পরিযায়ীদের। তাই ফি বছর শীত নামলে ভিড় জমায় ফ্যালকেটেড ডাক, রুডিশিয়াল ডাক, স্পটবিল্ড ডাক, গ্যাডওয়াল, কমন পচার্ডেরা। এরা কেউ ইউরোপের শীতপ্রধান দেশ আবার কেউ রাশিয়ার উত্তরাংশ, কেউবা উত্তর চিন, মঙ্গোলিয়া থেকে উড়ে আসে। ওই সব দেশে ঠান্ডা এত তীব্র যে তা সহ্য করতে না পেরে উষ্ণতার খোঁজে পাখির দল বেড়িয়ে পড়ে। গজলডোবার তিস্তা ওদের সেই উষ্ণতা দেয়। পরিযায়ীদের মধ্যে অনেকে মার্চ অবধি গজলডোবাতেই কাটিয়ে ফের নিজ দেশে ফিরে যায়। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফ মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “নভেম্বর থেকে পরিযায়ীরা আসতে শুরু করলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে গজলডোবায় সমস্ত পরিযায়ী চলে আসে। স্মিউ-এর মত দুর্লভ পরিযায়ী পাখিরও দেখা মেলে।” বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “গজলডোবার পরিযায়ীদের প্রতি বন দফতর বিশেষ ভাবে যত্নবান। পর্যটন হাব হলে এই ভিনদেশি পাখিদের দেখার সুযোগ বেশি করে পাবেন।”
|
প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ পালন শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
রামনগর ১ ব্লকে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাস্তরে প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহের সূচনা হল। শনিবার এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও রামনগর ১ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ৪৫টি দরিদ্র পরিবারের হাতে ৫০টি মুরগি ছানা তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ২৫টি পরিবারকে পাম্পসেট, ১৮টি পরিবারকে মাদুর বোনার মেশিন, ২৫টি পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ৭টি পরিবারের হাতে ধান ঝাড়া মেশিন তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিশিরবাবু ছাড়াও জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত দাস, রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা গোপাল মাইতি উপস্থিত ছিলেন। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের মানিকপুরেও শনিবার প্রাণি সম্পদ বিকাশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন, দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা ও বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। সেখানেও ৫০ জনের হাতে মুরগি ছানা ও পশুখাদ্য তুলে দেওয়া হয়।
|
জাতীয় শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
পশুপালনে আগ্রহ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সাঁইথিয়া ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সপ্তদশ জাতীয় ‘প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ’।
|
হুগলি জেলায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ উদযাপন কর্মসূচির জেলাস্তরের অনুষ্ঠানটি রবিবার হয়ে গেল পুড়শুড়ার বিডিও অফিসের কাছে শিশু উদ্যান সংলগ্ন মাঠে। প্রাণিসম্পদ বিকাশের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্বনিযুক্তির লক্ষ্যে জনচেতনা বাড়াতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই উদ্যোগ এ বার সতেরো বছরে পড়ল। সারা দেশ জুড়ে জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ শুরু হয়েছে গত ১৩ নভেম্বর থেকে। চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। পুড়শুড়ায় অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ মেহবুব রহমান। উপস্থিত ছিলেন পুড়শুড়া বিধায়ক পারভেজ রহমান, আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের হুগলি উপ অধিকর্তা সোমনাথ মাইতি সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের বিভিন্ন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকেরা।
|
বিষধর কোবরা প্রজাতির ৩৮টি সাপ-সহ রবিবার সকালে খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার গোপালী থেকে সাতজনকে ধরল বন দফতরের কর্মীরা। বন দফতরের কাছে খবর ছিল, একটি গাড়িতে করে সাপ পাচার হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আগে থকেই দফতরের পাতা ফাঁদে সাপের বাক্স-সহ গাড়িটি আটক হয়। বাক্সগুলিতে ২৬টি কেউটে, ১১টি গোখরো ও ১টি স্যান্ডবোয়া প্রজাতির সাপ ছিল। |