খুনের আসামির অপমৃত্যু জেলে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বেচতেন লটারির টিকিট। ক্রেতা খুনের মামলায় জেল হল। সেই প্রৌঢ় বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। শনিবার গভীর রাতে ওই জেলে মৌলানা আজাদ ওয়ার্ডের শৌচাগারে তাঁকে পাওয়া যায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অলক মল্লিক ওরফে আলো (৬১) নামে ওই বন্দি আত্মঘাতী হয়েছেন। খবর পেয়ে তাঁর ভাই গৌর মল্লিক রবিবার কলকাতায় আসেন। তাঁর দাবি, এই অপমৃত্যুর যথাযথ তদন্ত হোক। পুলিশি সূত্রের খবর, অলক রানাঘাটে লটারির টিকিটের ব্যবসা করতেন। ১৫ বছর আগে সেখানেই এক ক্রেতার সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। তার জেরে খুন হন সেই ক্রেতা। অলককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন তিনি। কারা দফতরের খবর, শনিবার রাত ১টা নাগাদ অলককে ওয়ার্ডে দেখতে না-পেয়ে সন্দেহ হয় রক্ষীদের। কিছু পরে অন্য এক বন্দি তাঁকে শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। গলায় মাফলারের ফাঁস। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলে বন্দিদের নজরে রাখার কথা রক্ষীদের। তাঁদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই দণ্ডিত বন্দি আত্মঘাতী হলেন, প্রশ্ন তুলেছেন কারা দফতরের একাংশই। |
সিপিআইয়ের ডাক ফেরাল সিপিএম |
বিধানসভা ভোটের পরে কলকাতায় সিপিএম ছেড়ে আসা শ’দেড়েক কর্মী-সমর্থককে দলে টেনে নিয়েছিল সিপিআই। তার ধাক্কা লেগেছিল শরিকি সম্পর্কে। রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে রবিবার সিপিআইয়ের বড়তলা আঞ্চলিক পরিষদের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনেও বজায় থাকল তার রেশ। সিপিআইয়ের আমন্ত্রণে অন্য শরিকেরা সাড়া দিলেও এড়িয়ে গেল সিপিএম। মূলত, সিপিএম ছেড়ে আসা লোকজন যোগ দিয়েছেন এই পরিষদে। এ দিনের সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে সব বাম শরিককেই চিঠি দিয়েছিল সিপিআই। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, ডিএসপি এলেও গরহাজির ছিল সিপিএম। মূল্যবৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িকতার মতো সমস্যার বিরুদ্ধে জোরালো লড়াই এবং ফ্রন্টের বাইরেও বামেদের শক্তিশালী করার আহ্বান ওই সমাবেশে শোনা গিয়েছে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদারের গলায়। |
ঢালাইয়ের কাজ চলার সময়ে আচমকাই ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একটি অংশ। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে। তবে কেউ হতাহত হননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আচমকাই বিকট একটি শব্দ শোনেন তাঁরা। বিপদ আঁচ করে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। পুলিশ গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানায়, ২০ জন শ্রমিক ওই বহুতলে কাজ করছিলেন। তখনই পশ্চিম দিকের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। |
আলু-কাজিয়ায় ধৃত বাজার-কর্তা |
আলু বিক্রি নিয়ে গোলমালের জেরে এক সব্জি বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগে সল্টলেকের একটি বাজার সমিতির সম্পাদক এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম গোপাল বিশ্বাস ও অপু বিশ্বাস। রবিবার সকালে আলুর দর নিয়ে ডি-কে মার্কেটের এক সব্জি বিক্রেতা ও বাজার সমিতির মধ্যে বচসা বাধে। ওই বিক্রেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি থানায় অভিযোগ জানালে রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |